নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আরও একটা ম্যাচ, আরও একটা দারুণ জয়। বিপিএলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ছুটছে খুলনা টাইগার্স। রূপসা পাড়ের দলটিকে যেন থামানোর কেউ নেই। টাইগার্সদের থাবায় এবার বিধ্বস্ত ঢাকা। খুলনা ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকাকে। রীতিমতো পাত্তায়ই পায়নি রাজধানীর শহরটি।
লাক্কাতুরার ২২ গজে ঢাকার দেওয়া ১৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস। তবে মাত্র ৪.৩ ওভারে দলের রান যখন ৫০ পার করে, তখনই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা এভিন লুইস।
ক্যারিবিয়ান বাঁহাতি তারকা পিঠের চোটে ভুগছিলেন। তাকে একবার টেপ পেঁচিয়ে দেন ফিজিও, তবুও বেশি সময় ব্যাট করতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার আগে মাত্র ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন।
তবে লুইসের প্যাভিলিয়নে ফেরা খুব একটা সমস্যায় ফেলেনি খুলনাকে। কারণ অধিনায়ক বিজয়কে সঙ্গ দিতে উইকেট আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুজনে দারুণ ব্যাটিংয়ে একেবারে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন।
৩২ বল হাতে রেখে দশ উইকেটে জিতে খুলনা। অধিনায়ক বিজয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ফিফটি পূরণ করে ৪৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। অপরপ্রান্তে ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
এর আগে দারুণ শুরু পেয়েও সেটি ধরে রাখতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। মোমেন্টাম হারিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে দলটির। অসাধারণভাবে খুলনা টাইগার্স ঘুরে দাঁড়ায় ম্যাচে। আর এতে ভালো শুরুর পরও ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৩০ রানেই থেমে যায় ঢাকার ইনিংস।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরুটা নামের মতোই দুর্দান্ত করে দুর্দান্ত ঢাকা। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাইম আইয়ূব মিলে ৯ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৭৫ রান। ২১ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কার মারে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নাঈম বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি।
জুটি ভাঙার সাথে সাথেই বিপর্যয় নেমে আসে ঢাকার ব্যাটিংয়ে। ৭৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটি ১১৪ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে। নাঈমের বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন আরেক ওপেনার সাইম আইয়ূব। তবে ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ রান করে যান সাইম।
টপ অর্ডারে নেমে গুলবাদিন নাইব, বিপিএলে অভিষেক হওয়া এস এম মেহরব, ইরফান শুক্কুর, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা ব্যর্থ হন। মাঝে অ্যালেক্স রসের ২১ ও শেষ দিকে আরাফাত সানীর ১৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে কোনোমতে লড়াকু পুঁজি পায় ঢাকা। একইসাথে অলআউটের লজ্জা থেকেও রক্ষা পায়।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় একাই ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ওয়াসিম জুনিয়র মাত্র ১৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন। ২টি উইকেট লাভ করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধও।
আসরে চার ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতে টেবিলের শীর্ষস্থানে আবারও উঠে এসেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। আসরের একমাত্র অপরাজিত দল তারাই। অপরদিকে টানা তিন হারে টেবিলের তলানির দিকে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঢাকা। নামের পাশে ৪ ম্যাচে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট মাত্র।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post