নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ছে সিলেট। অমিত হাসানের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ আর গালিবের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ গড়েছে সিলেট বিভাগীয় দল।ট। কক্সাজারের একাডেমিট মাঠে রীতিমতো রান উৎসব করছে সিলেট বিভাগীয় দল। খুলনার বোলারদের পিটিয়ে সিলেটের একজন সেঞ্চুরি, একজন ডাবল সেঞ্চুরিতো করেছেন, আরেকজন এক রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। তাতে্ ৭ উইকেটে ৪৯৬ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছে সিলেট।
আগে ব্যাট করতে নামা সিলেট শুরু করে উইকেট হারিয়ে। ওপেনার তুষার মাত্র ৪ রান করেই ফিরেন প্যাভেলিয়নে। তার বিদায়ে তিনে নামা দিশানও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২১ রানে, দলীয় ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ইনিংসের ষষ্ট ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট বিভাগীয় দল।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো সিলেটের হয়ে এরপর জুটি গড়েন ‘ডাবল সেঞ্চুরিয়ান’ অমিত হাসান ও এক রানেরজন্য সেঞ্চুরি মিস করা পিনাক ঘোষ। ২১৮ বলে ৯৯ রান করা পিনাকের বিদায়ে ভাঙে তাদের সেই জুটি। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়া পিনাক বার চার ও এক ছক্কায় সাজিয়ে ছিলেন নিজের ইনিংসটি।
পিনাকের বিদায়ের পর গালিবকে নিয়ে জুটি গড়েন অমিত। তরুণ ব্যাটার আসাদুল্লাহ আল গালিবও সেঞ্চুরি হাঁকান। প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংস তিনি সাজিয়েছেন ২৭২ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায়। খেলেছেন ১১৫ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা তোফায়েল ব্যক্তিগত সাত রানে ফিরে গেলে বাংলাদেশ হারায় চতুর্থ উইকেট।
তবে অবিচল থাকেন অমিত হাসান। ডাবলের পেছনে ছুটেন তিনি। খেলেছেন ২১৩ রানের নান্দনিক এক ইনিংস। ৪৫৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৮টি চার ও একটি ছক্কায়। রাহাতুল ফেরদৌস জাবেদ ১৫ রানে ফিরে যাওয়ার পর ইনিংস ডিক্লেয়ার করে সিলেট। তার আগে ১৬৩.৪ ওভারে সাত উইকেটে ৪৯৬ রান তুলে।
খুলনার হয়ে শেখ মেহদী চারটি ও জিয়াউ রহমান তিনটি করে উইকেট লাভ করেন।
সিলেটের বিশাল রানে চাপা পড়ে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নামা খুলনা কোনো উইকেট না হারিয়ে ২ ওভারে ৩ রানে দিন শেষ করেছে। এক রানে ওপেনার বিজয় ও শুন্য রানে অমিত মজুমদার অপরাজিত আছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০