নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা টেস্টে শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৪টা ১৩ মিনিটে দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। জাকির হাসান ১৬ ও মুমিনুল হক শূন্যরানে ক্রিজে আছেন। তারা দুজন আগামীকাল শনিবার চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামবেন।
এর আগে ৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে এসেই দলকে আরো ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। এই ওপেনার প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২ রান। দ্রুত ফিরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। টিম সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি মিড-অফে থাকা উইলিয়ামসনের হাতে তুলে দেন তিনি।
২ চারে ১৫ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ২১ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকা জাকিরকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। তিনি ১ বল মোকাবিলা করতেই আলোক স্বল্পতার কারণে ম্যাচে বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। এর আগে প্রথম দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। খানিকটা ভেজা উইকেটেও শুরু থেকেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে খুব বেশি সুবিধা পাননি তাইজুল-মিরাজরা। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মিচেল-ফিলিপস। এই দুইজনের দারুণ ব্যাটিং শঙ্কায় ফেলেছিল বাংলাদেশকে। তবে ইনিংসের ২২তম ওভারে মিচেলকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান।
মিচেলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান। এরপর সুবিধা করতে পারেননি মিচেল স্যান্টনার। ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তবে আটে ব্যাটিং করতে নেমে ফিলিপসকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন কাইল জেমিসন। তার ২৮ বলে ২০ রানের ইনিংস ভরসা জুগিয়েছে অপর প্রান্তে থাকা ফিলিপসকে। জেমিসনের পর সাউদিও করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৪ রান।
সাউদি-জেমিসনকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রান টপকাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ফিলিপস। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরলেও দলকে ঠিকই লিড এনে দিয়েছেন। ফিলিপস ৮৭ রান করে আউট হলে নিউজিল্যান্ড থামে ১৮০ রানে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post