নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ সময় ধরে শিরোপখরায় ভুগছিল ভারত। সেই দুঃস্বপ্ন ভেঙে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। বিশ্বকাপের ১০টি ম্যাচেই তারা দাপুটে জয় পেয়েছে। ব্যাট-বল ও ফিল্ডিং কোনোদিক থেকেই যেন দুর্বলতা রাখতে রাজি নয় সাবেক বিশ্বকাপজয়ীরা।
মুম্বাইয়ে সেমিফাইনাল জিতে ভারতীয় দল যখন আহমেদাবাদে আসে তখন থেকেই স্টেডিয়ামের পাশে দিন-রাত স্লোগানের পর স্লোগান দিয়েছেন সমর্থকরা। শত শত লোক ভীড় করছে। সবাই ট্রফির স্বপ্নে বিভোর। এমনকি ফাইনালের আগে সমগ্র ভারতে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রার্থনারত বেশির ভাগ মানুষ হিন্দুধর্মাবলম্বী। অনেকে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে, আবার কেউ কেউ নিজ এলাকাতে প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন। এ সময় ভারতীয় দলের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড সঙ্গে নিয়ে অগ্নিপূজা করতে দেখা যায়। বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে রাজস্থানে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোহিত–কোহলিদের জয় কামনায় মোদি প্রার্থনা করতে যান সেখানকার বীর তেজাজি মন্দিরে।
দেশজুড়েও যে উত্তেজনা, সেটির আঁচ যে গায়ে লাগছে, তা অস্বীকার করলেন না ভারতের অধিনায়ক রোহিত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইমোশনালি, অবশ্যই এটা বড় ব্যাপার, বড় উপলক্ষ। কোনো সংশয় নেই। যতটা কঠোর পরিশ্রম, যত স্বপ্ন, সব এই দিনকে ঘিরেই। কালকে (আজ) সেই দিনটি আমাদের সামনে আসছে। তবে পেশাদার অ্যাথলেটদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জই তো এটা যে, কীভাবে সবকিছু এক পাশে সরিয়ে মূল কাজে মনোযোগ দিতে পারে। আমার সঙ্গে আরও ১০ ক্রিকেটার কাল তাই মাঠে নামবে নিজেদের কাজে মন দিতে, জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসেবে তারা ভাববে না। হ্যাঁ, এটায় কোনো সন্দেহ নেই যে, মনের কোণে ভাবনাটা থাকবেই যে ফাইনাল ম্যাচ। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। তবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে স্থির ও গোছানো থাকা জরুরি, যেন দল হিসেবে ভালো করা যায় এবং চাপের মধ্য সেরা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।’
Discussion about this post