স্পোর্টস ডেস্কঃ ওয়েম্বলিতে আজ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। শনিবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এই ম্যাচের আগে বড় ধরণের বিতর্কে জড়িয়েছে জার্মান ক্লাবটি। সম্প্রতি জার্মানির সবচেয়ে বড় অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রাইনমেটালের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তির ঘোষণা করেছে তারা।
রাইনমেটালের তৈরি অস্ত্র গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনবাসীর ওপর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এরকম একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি ডর্টমুন্ডের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বুধবার (২৯ মে) এই চুক্তি ঘোষণার পর থেকেই ফুটবল সমর্থক, শান্তিপ্রিয় গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া আসছে। যার বেশিরভাগই সমালোচনা।
এদিকে চুক্তি প্রসঙ্গে ডর্টমুন্ডের চেয়ারম্যান হান্স-জোয়াকিম ওয়াটৎকজ বলেছেন, ‘নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা আমাদের গণতন্ত্রের দুই স্তম্ভ। বিশেষ করে এখন, যখন আমরা দেখি প্রতিদিন ইউরোপে কীভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়।’ এদিকে এই অস্ত্র বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানের সিইও আর্মিন প্যাপারগার ডর্টমুন্ড চুক্তি সম্পর্কে বলেন, ‘এই পদক্ষেপটি বি.ভি.বি এবং রাইনমেটালকে একত্রিত করবে, দুই অংশীদার যাদের একই ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, মনোভাব এবং উৎস রয়েছে।’
এদিকে সম্প্রতি অস্ত্র বিক্রির দায়ে জার্মান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বার্লিনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ বা ইসিসিএইচআর। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভ্যালের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। ২০২৩ সালে জার্মানি ইসরায়েলকে ৩২৬.৫ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র দিয়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জার্মানির অবস্থান। ইসিসিএইচআর এর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রোগ্রামের উপপরিচালক আলেকজান্ডার শোয়ারৎস বলেছেন, জার্মানির কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র দিয়ে যে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে, তা বিশ্বাস করার ‘যৌক্তিক কারণ’ আছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post