নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিপিএলে এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলটি ৬ উইকেটে হারিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকাকে। তিন ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় জয় এটি চট্টলার দলের। অপরদিকে এবারের আসরে প্রথম হার দেখল দুর্দান্ত ঢাকা। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল ঢাকা।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ঢাকার দেওয়া ১৩৭ রানের মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই আগ্রাসী চট্টগ্রাম। তবে প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৯ রানে ফিরে যান আভিষ্কা ফার্নান্দো। ১২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। টপ অর্ডারে মাত্র ১ রান করেই আউট হন ইমরানউজ্জামান।
তবে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসেন তানজিদ তামিম ও শাহদাত দিপু। সেই জুটি ভাঙে ওয়ানডে সুলভ ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ২২ রান করা দিপুর বিদায়ে। দলের রান একশ পার হতেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন তামিমও। তবে এর আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেন। এক রানের জন্য ফিফটি মিস করেন।
এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি চট্টগ্রাম। নজিবুল্লাহ জাদরানের ১৯ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১০ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চ্যালেঞ্জার্সরা। ১১ বলে ৭ রান করে তার সাথে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।
ঢাকার হয়ে শরিফুল ইসলাম ২টি, তাসকিন আহমেদ ১টি ও উসমান কাদির ১টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস শুরুর দিকে দ্বিতীয় ওভারেই দুর্ঘটনার শিকার হন ঢাকার ব্যাটার গুনাথিলাকা। আল-আমিন হোসেনের বল ইনসাইড এজ হয়ে আঘাত করে তার হেলমেটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তিনি। মুহূর্তে রক্ত ঝরতে দেখা যায় তার গাল থেকে। পরে অবশ্য ঢাকার ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আর মাঠে থাকা হয়নি এই লঙ্কান ব্যাটারের। উঠে যেতে হয়।
এদিকে গুনাথিলাকার বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ঢাকার মান বাঁচিয়েছেন ক্রুসপুল্লে। কনকাশন সাব হিসেবে নেমে ব্যাট হাতে করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান। তাতে নির্ধারিত ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের দল পেয়েছে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের পুঁজি। এর আগে দলটির ব্যাটার সাইফ হাসানও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ১১ রানের মাথায় আল আমিন হোসেনের বলে নাজিবউল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। ৯ বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
সাইফের বিদায়ের পর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও টিকতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানের মাথায় শুভাগহ হোমের বলে নাহিদউজ্জামানের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। তার বিদায়ের পর গত ম্যাচে দারুণ খেলা নাইম শেখও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
দলীয় ৩১ রানের মাথায় নিহাদউজ্জামানের বলে ৮ রান করে বিদায় নেন নাঈম। নাঈমের পর অ্যালেক্স রসও সাজঘরে ফেরেন মাত্র দুই রানের ব্যবধানে। এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে ১১ রানের বেশি আসেনি। সবমিলিয়ে ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ঢাকা।
সেই চাপ সামাল দেওয়ার দায়িত্বটা নেন ইরফান শুক্কুর ও লাসিথ ক্রুসপুল্লে। এই জুটিতে যোগ হয় ৪৯ বলে ৭৫ রান। দলীয় ১০৬ রানের মাথায় কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে শুভাগত এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্রুসপুল্লে। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান। তবে তার কনকাশন নিয়ে বিতর্ক আছে। দলের ১৫ জনের স্কোয়াডের ভেতরে তিনি ছিলেন না। যার ফলে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানায় চট্টগ্রাম। তবে ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান জানান, নিয়মের ভেতরেই পড়ে লঙ্কান এই ব্যাটারের বদলি নামা।
চট্টগ্রামের হয়ে বিলাল খান ও আল আমিন হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post