স্পোর্টস ডেস্কঃ সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছিল না হার্দিক পান্ডিয়ার। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালীন ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া দিয়ে শুরু। এরপর যখন ফিরলেন, তখন আইপিএলে নিয়ে আবার নতুন আলোচনা। গুজরাট টাইটান্স থেকে তাঁকে নিয়ে আসে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শুধুমাত্র নিয়ে আসাই নয়, রোহিত শর্মাকে ছাপিয়ে অধিনায়ক করা হয় তাকে। তীব্র দুয়ো শুনতে হয় এই নিয়ে। মুম্বাইয়ের মালিকপক্ষ, টিম ম্যানেজম্যান্ট ও হার্দিককে এই নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
আইপিএলের মুম্বাইয়ের ব্যর্থতা আর হার্দিকের বাজে ফর্ম সেই সমালোচনাকে তীব্র করেছে। ট্রল-নোংরা মন্তব্যের সাথে সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে হার্দিককে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গও আসে। এর মাঝেই আবার পারিবারিক সমস্যায়ও ভুগেন হার্দিক। স্ত্রী’র সাথে ডিভোর্সের গুঞ্জন জোরালো হয়ে আসে। সব মিলিয়ে চরম দুঃসময় পার করছিলেন হার্দিক। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট আস্থা রেখেছিল তার উপর। বিশ্বকাপ দলে হার্দিককে রাখা হয়, একইসাথে সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন হার্দিক। টুর্নামেন্টজুড়েই ফর্মে ছিলেন বেশ। শুধুমাত্র ফর্মে থাকাই নয়, ফাইনালে মহারণে দলকে শিরোপাও এনে দেওয়ার কারিগর তিনি। শেষ ওভারে ১৬ রান ডিফেন্ড করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে উইকেট এনে দিয়েছেন। পুরো আসরজুড়ে ১১ উইকেটের পাশাপাশি ১৪৪ রান করেছেন হার্দিক। শিরোপা জেতার পর তার মাটিতে শুয়ে কান্নাই, বলে দিচ্ছিল শত-শত সমালোচনার পর সফলতার চূড়ান্ত সীমানায় পৌঁছে মনের অবস্থা আসলে কী হয়।
নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন হার্দিক। শিরোপা জেতার পর তিনি বলেন, ‘খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। অনেক পরিশ্রম করেছি, ত সফল হতে পারছিলাম না। আমার কাছে এটি অনেক বেশি বিশেষ মূহুর্ত। গেল ছয় মাসে আমার সাথে অনেক কিছু হয়েছে। কোনো কথা বলিনি, একেবারে চুপ ছিলাম। জানতাম, যদি পরিশ্রম করে যাই, তাহলে একদিন এর জবাব দিতে পারব। সে সুযোগ আমি পাব। একদিন এই দিনটি আসবে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post