স্পোর্টস ডেস্কঃ বার্সেলোনাকে হারিয়ে ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার উপলক্ষ রাঙাল মোনাকো। প্রতিপক্ষের মাঠে বৃহস্পতিবার রাতে ২-১ গোলে হেরেছে হান্সি ফ্লিকের দল। ম্যাচের শুরুতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা। এরপর হজম করে গোল। সেই গোল লামিন ইয়ামাল শোধ দিলেও দ্বিতীয়ার্ধের জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
একজন কম নিয়েও দল যেভাবে লড়েছে, সেটির প্রশংসা করছেন ফ্লিক। এই ধাক্কা সামলে ওঠার প্রত্যয়ও জানালেন তিনি। ম্যাচ শেষে ফ্লিক বলেন, ‘আমাদের দলে এমন ছেলেরা আছে, যারা শতভাগের বেশি দিয়ে চেষ্টা করে। সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। এই দল নিয়ে আমি গর্বিত ও এই ছেলেদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি। এই হারকে মেনে নিতে হবে আমাদের। তবে এখনও সাতটি ম্যাচ বাকি আছে। নিশ্চিতভাবেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
মোনাকোর মাঠে বার্সা বড় ধাক্কা খায় ম্যাচের ১০ মিনিটে। বক্সের বাইরে বিপজ্জনকভাবে মোনাকোর তাকুমি মিনামিনোকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। ১০ জনের বার্সাকে পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক আক্রমণে চাপে ফেলে দেয় ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি। ফলও পায় হাতেনাতে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। দারুণ এক আক্রমণ থেকে মোনাকোর হয়ে গোল করেন মাগনেস আকলিওচে।
২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করে বার্সাকে সমতায় ফেরান স্প্যানিশ উইঙ্গার লামিন। এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর প্রথম গোল। যা তাঁকে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় কনিষ্ঠ গোলদাতার খেতাবও এনে দিয়েছে। লামিন করেছেন ১৭ বছর ৬৮ দিনে। শীর্ষে থাকা আনসু ফাতি গোল করছিলেন ১৭ বছর ৪০ দিনে। তিনিও বার্সার জার্সিতে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে মোনাকোর জর্জ লেনিকেনা দারুণ এক আক্রমণে সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর অবশ্য পেনাল্টিও পেয়েছিল মোনাকো। কিন্তু ভিএআরের কারণে সে যাত্রায় বেঁচে যায় বার্সা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০