স্পোর্টস ডেস্কঃ টেস্ট খেলুড়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে চমক দেখিয়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্য নামিবিয়া। ঘরের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সোমবার ৮ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। ১০১ রানের পুঁজি নিয়ে তারা ৪ বল বাকি থাকতেই জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে দিয়েছে ৯৩ রানে।
১০২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে বল ও রানের ব্যবধান। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে যখন লুক জঙ্গুয়ে আউট হয়ে যান তখনও জিম্বাবুয়ের হাতের নাগালেই ছিল ম্যাচ। ৭ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। হাতে ছিল দুই উইকেট। কিন্তু তিন বলের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রানেই থামে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে জঙ্গুয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন। নিক ওয়েলচ করেন ৩০ বলে ২৩ রান। বাকিদের মধ্যে রায়ান বার্ল ১৯ ও ক্লিভ মাদান্দে ১৬ রান করেন। নামিবিয়ার পক্ষে বেরনার্ড শ্চুলজ ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। স্মিটও ৪ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া গেরহার্ড ইরাসমাস, তাঞ্জেনি লুঙ্গামেনি ও জ্যান ফ্রেইলিঙ্ক একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এই জয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে নামিবিয়া। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এর চেয়ে কম রান করে জয়ের নজির নেই কোনো। ত্রিনিদাদে ২০১০ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৫ রান করে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। ২৯ রান ও ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। ১৭৭ রান ও ৪ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার একশ পেরোনো সংগ্রহে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন জেজে স্মিট। পরে বল হাতে তিনি ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রানে নেন ৩ উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। স্মিট ছাড়া আর মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন। ওপেনার নিকলাস ডাভিন ও জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ১৯ রান করে করেন। ১৩ বলে ১৭ রান করেন জেন গ্রিন। রাজা ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post