নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে শোয়েব মালিকের রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে তামিম ইকবাল-ইয়াসির আলীদের খুলনা টাইগার্স। ড্যাশিং ওপেনারের হাফ সেঞ্চরিতে বিপিএলের নবম আসরে প্রথম জয়ের মুখ দেখলো খুলনার দলটি। ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে সাগরিকায় জয়ের স্বাদ পেলো তামিমের দল।
আগে ব্যাট করা রংপুর রাইডার্স মেহদী হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে ১২৯ রানের মাঝারি পূঁজি পায়। জবাবে খেলতে নামা তামিম ইকবালদের খুলনা মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা খুলনা তামিম-মুনিমের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায়। দুই ওপেনার তুলে নেন ৪১ রান। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ২১ রানে মুনিম শাহরিয়ারের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। রানের সমান ২১ বলে তিন চারে নিজের ইনিংসটি সাজান এই ওপেনার।
সঙ্গী ওপেনারকে হারালেও ব্যাট হাতে অবিচল থাকেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৪৭ বলে ৬০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তামিম। চার চার ও দুই ছক্কায় সাজান এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির ইনিংস। ৪২ বলে ৩৮ রান করে তার সঙ্গী হন মাহমুদুল হাসান জয়। দুই চার আর এক ছয়ের মার ছিলো তার ইনিংসে। ১০ বল হাতে রেখেই বড় জয় নিশ্চিত হয় খুলনার।
রংপুরের হয়ে ওমরজাই একটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে খুলনার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বড় সংগ্রহ পায়নি রাইডার্সরা। মেহদী আর ইমন ছাড়া তেমন রানের দেখা পাননি কেউ। শেষ পর্যন্ত তাই ইনিংসের শেষ বলে তাদেরকে অলআউট হতে হয় ১২৯ রানে। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। পারভেজ হোসেন ইমন ২৪ বলে ২৫ রান করেন। শেখ মেহেদী ছাড়া রংপুরের ব্যাটাররা আর কিছুই করতে পারেনি। ৩৪ বলে দুটি চার আর দুটি ছক্কায় ৩৮ রান করেন মেহেদী। শেষদিকে ৭ বলে ১২ রান করেন রাকিবুল হাসান।
খুলনার হয়ে ওহাব রিয়াজ ৪টি, আমাদ বাট ৩টি ও নাহিদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post