নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার লিটন দাসের দল জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এ জয়ে সিরিজের ফল দাঁড়িয়েছে ২-১। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে আফগানরা।
তবে শেষ ম্যাচে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে টাইগাররা। ব্যাটে-বলে সফরকারীদের ধরাশায়ী ক্রিকেট খেলেছে। বিশেষ করে বোলিংয়ে বাড়তি পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলার। যেখানে পেসার শরিফুল ইসলাম বড় অবদান রাখেন।
টাইগারদের এই বাঁহাতি পেসার ৯ ওভার বল করে ১ মেইডেনসহ ২১ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পান। হয়েছেন ম্যাচ সেরা ক্রিকেটার। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানদের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন শরিফুল। আগ্রাসী বোলিংয়ে একে একে শিকার করেন ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, মোহাম্মদ নবি ও অভিষিক্ত আব্দুল রহমানকে।
ক্যারিয়ারে আগেও দুইবার ৪ উইকেট করে পেয়েছিলেন শরিফুল। ২২ বছর বয়সী এই পেসার ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খরচ করেন ৪৬ রান। আর গত বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেন ৩৪ রান। তবে এবার আগের স্পেল ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
তবে এবারও ৫ উইকেট দেখা পাননি। প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল বুধবারের ম্যাচেই। কিন্তু নিজের কোটার এক ওভার বাকি থাকলেও, ক্র্যাম্পের কারণে বোলিং করতে পারেননি। দল ও নিজের কথা চিন্তা করে শতভাগ ফিট বোলারকে বল করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই আক্ষেপ রয়ে গেছে পাঁচ উইকেট না পাওয়ার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই নিয়ে আক্ষেপের সুরে শরিফুল বলেন, ‘চেষ্টা তো ছিল (পাঁচ উইকেট পাওয়ার)। কিন্তু দেখছিলাম ক্র্যাম্প করছে। আামি যদি জোর করে বল করতাম, চোটে পড়তে পারতাম। এদিকে লুজ বল হলে বাউন্ডারি হয়ে যেত। তাই আমি চিন্তা করেছি আমার দলের ভালো একজন বোলার, যিনি কিনা শতভাগ দিতে পারবেন, তারই বোলিং করা উচিত।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post