স্পোর্টস ডেস্কঃ দিল্লি ক্যাপিটালসের ঘরের মাঠে রান উৎসব করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বুধবার অল্পের জন্য আইপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি কলকাতা। মাত্র ৫ রানের জন্য আইপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড ছুঁতে পারল না দলটি।
দিল্লির বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। শ্রেয়াস আইয়ারের দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন। মাত্র ৩.৫ ওভারে ৫০ রান তোলে কলকাতা। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ফিল সল্ট যখন ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হন, ততক্ষণে কেকেআরের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬০ রান। ওপেনার ফিল সল্ট আউট হলেও নারিন ঝড় চলেছে আরও অনেকক্ষণ।
আউট হওয়ার আগে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার নারিন ৩৯ বলে ৭টি করে চার-ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর বিদায়ের পর অংক্রিশ রঘুবংশী মাত্র ২৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। এরপর আরেক ক্যারিবিয়ান আন্দ্রে রাসেলও ঝড় তোলেন। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে জুটিতে ২৪ বলে ৫৬ রান যোগ করেন তিনি। ১১ বলে ১৮ রান করে আইয়ার বিদায় নিলে রান উৎসবে যোগ দেন রিঙ্কু সিং।
মাত্র ৮ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন রিংকু। রাসেল আউট হওয়ার আগে মাত্র ১৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৪১ রান করেন। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারায় কলকাতা। শেষ পর্যন্ত ২৭২ রানে থামে তারা। ম্যাচের ওই প্রথমার্ধে ওমন পিটুনি খাওয়ায় বিব্রত ১০৬ রানে পরাজয় বরণ করা দিল্লি কোচ রিকি পন্টিং। ‘এখনই এটা হজম করে ওঠা কঠিন। ম্যাচের প্রথমার্ধ নিয়ে আমি আসলেই বিব্রত। এতো রান খাওয়া, ১৭টি ওয়াইড দেওয়া। বোলিং শেষ করতেই প্রায় দুই ঘণ্টা লেগেছে আমাদের।’
কলকাতার পিটুনির কারণে নির্ধারিত সময়ে ইনিংস শেষ করা থেকে দুই ওভার পিছিয়ে ছিল দিল্লি। নিয়মের কারণে শেষ দুই ওভারে ৩০ গজের বাইরে তারা পাঁচজনের জায়গায় চারজন ফিল্ডার রাখতে বাধ্য হয়। পন্টিংয়ের মতে এটাও প্রভাব ফেলেছে বোলিংয়ে, ‘এই ম্যাচে অনেক কিছুই ঘটেছে, যা মেনে নেওয়া কঠিন। রাতেই আমরা টিম মিটিংয়ে এগুলো নিয়ে কথা বলবো। কারণ সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা দরকার।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post