স্পোর্টস ডেস্কঃ রাজসিক অভিষেক বোধ হয় একেই বলে! হাতের চোট সারিয়ে আজই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন। ফিরেই ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনদের দম্ভ গুঁড়িয়ে হাফসেঞ্চুরি পান মাত্র ২৫ বলে। এরপর সেই ইনিংসে সেঞ্চুরিতে রূপ দিলেন ট্রাভিস হেড।
ধর্মশালায় মাত্র ৫৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার হেড। যা বিশ্বকাপে রেকর্ড। ১০ চার ও ৬ ছক্কায় সেঞ্চুরিতে পৌঁছান এই ব্যাটার। সেঞ্চুরির পর আরেকটি ছক্কা হাঁকিয়ে থামে তাঁর ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৬৭ বলে ১০৯ রান করে গ্লেন ফিলিপসের বলে আউট হন হেড।
শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৯ ওভারেই ১৭৫ রান করেছেন ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার জুটি। তাতে একাধিক রেকর্ড গড়েন দুই অজি ওপেনার। চোট কাটিয়ে একাদশে ফেরা হেড ও ওয়ার্নারে পাওয়ার প্লে-তেই ১১৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৭৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় অজিরা।
এর আগে দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও হেড রীতিমতো ঝড় তুলেছেন ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসনদের ওপর দিয়ে। ৫ ওভার শেষে ৬০ রান পায় অস্ট্রেলিয়া। ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। হেড এই রেকর্ড স্পর্শ করেন মাত্র ২৫ বলে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের এটা দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। এর আগে ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন তিনি। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি আছে অ্যালেক্স ক্যারিরও। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ক্যারি।
ওয়ার্নার-হেডের ব্যাটে আজ অজিরা প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান তোলে ১১৮। প্রথম ১০ ওভারে রান তোলার রেকর্ডে যা যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিকে হেডের এই হাফসেঞ্চুরি এবারের বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্রুততম। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। এদিকে হাফসেঞ্চুরির ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে হেড বল খেলেন ৫৯টি। যা বিশ্বকাপে অজিদের হয়ে আরেকটি রেকর্ড সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ১৮তম ব্যাটসম্যান হেড, অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা অস্ট্রেলিয়ার ১৮তম ক্রিকেটার তিনি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post