নিজস্ব প্রতিবেদক:: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। ডেভিড মালানের সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৩ উইকেটের বড়ব্যবধানে হারিয়েছেন জস বাটলারের দল। আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ২০৯ রান তুলতে সমর্থ হয়। জবাবে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড ডেভিড মালানের দুর্দান্ত শতকে ৮ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়।
২১০ রানের টার্গেটে খেলতে নামা ইংলিশদের শুরুটাও ভাল হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টাইগার অধিনায়ক তামিম বল তুলে দেন সাকিবের হাতে। ওভারের শেষ বলে ওপেনার জেসন রয়কে সাজঘরে পাঠান সাকিব। দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো ইংলিশরা দলীয় ৩৫ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ৯ম ওভারের প্রথম বলেই ব্যক্তিগত ১২ রান করা সল্টকে ফেরত পাঠান প্যাভেলিয়নে।
ইনিংসের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারো উইকেট তুলে নেন তাইজুল। দলীয় ৪৫ রানেই তিন উইকেট হারায় সফরকারী দলটি। ৯ বলে ৬ রানে সাজঘরে ফিরেন জেমস ভিন।নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাটলারের দল। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাট করতে থাকেন ডেভিড মালান। শেষ পর্যন্ত ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৪৫ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন আট চার ও চার ছক্কায়। উইল জেকসের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ৩টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানেই গুঁটিয়ে গেছে টাইগারদের ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন ৫৮ রান। এর বাইরে কেউ আর পঞ্চাশ ৩৫’র ঘরও ছুঁতে পারেননি। ছোট ছোট সব ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি স্বাগতিকদের। জিততে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২১০ রান।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে। প্রায় ৫ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩৩ রান। ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা কষ্ট করে যাওয়া লিটন দাস এক ছক্কা হাঁকিয়ে আভাস দেন ফেরার। তবে এরপরই ক্রিস ওকসের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ৭ রান করেই ফিরে যান। রিভিউ নিয়েও পার পাননি।
দলীয় ৫১ রানের মাথায় মার্ক উডের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে বোল্ড আউট হন দারুণ খেলতে থাকা অধিনায়ক তামিম। ৩২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে এই বাঁহাতি ওপেনার করেন ২৩ রান। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম মিলে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের ৪৪ রানের জুটি ভাঙে মুশফিকের সেই পুরোনো ভুলে। সুইপ শট খেলতে গিয়ে আদিল রশিদের বলে উডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৩৪ বলে ১ ছক্কার মারে করে যান ১৬ রান মাত্র।
উইকেটে এসেই তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায় সাকিব আল হাসানকে। যেখানে ঠাণ্ডা মাথায় ইনিংস ধরার কথা ছিল, সেখানে মেরে খেলতে গিয়ে মঈন আলির বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি তারকা। এক বাউন্ডারিতে মাত্র ৮ রান করেন তিনি। বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ এরপর আশার আলো দেখান শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনে মিলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন।
শান্তর বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। তবে আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটির দেখা পান সমালোচনায় থাকা এই ব্যাটার। ৮২ বলে ৬ বাউন্ডারির মারে খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস। তিন রান যোগ হতেই দ্রুতই বিদায় নেন উইকেটে সেট থাকা রিয়াদও। তিনি করেন ৪৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩১ রান।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজ এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। যথাক্রমে ৯ ও ৭ রান করে বিদায় নিয়েছেন। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ১৪ ও তাইজুল ইসলামের ১ চারের মারে ১০ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোরকম দলীয় রানের খাতা দুইশ পার করে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের হয়ে ছয় বোলারের সবাই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন জোর্ফ্রা আর্চার, মার্ক উড, মঈন আলি ও আদিল রশিদ। ক্রিস ওকস ও উইল জ্যাকস লাভ করেন ১টি করে উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০00
Discussion about this post