নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৬, ১, ৪, ৬ এরপর ওয়াইড। ইনিংসের শেষ ওভারে যখন ১৮ রান প্রয়োজন বরিশালের জয়ের, তখন দাসুন শানাকার করা শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিকের ঝড়। আর এতেই থামল খুলনা টাইগার্সের জয়রথ। দুই বল বাকি থাকতেই খুলনাকে ৫ উইকেটের হারাল ফরচুন বরিশাল।
টান টান উত্তেজনাকর এক ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। টানা চার জয়ের পর পঞ্চম ম্যাচে এসে আসরের প্রথম হার দেখল খুলনা। অপরদিকে উড়তে থাকা খুলনাকে মাটিতে নামিয়ে টানা দুই জয় দেখল বরিশাল।
খুলনার দেওয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরুতে আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর সৌম্যের সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তামিম। তবে ১৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক তামিম, দলীয় ৩৪ রানেই বিদায় নেন তিনি।
অতি আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে দলীয় ৬০ রানের মাথায় ফেরেন সৌম্য। এর আগে ২৩ বলে চার বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। তবে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১৫.৫ ওভারে ১০১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছিল বরিশাল। তবে সেখান থেকে ২১ বলে ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শোয়েব মালিক ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালিক। ম্যাচ সেরা হন সেই ইনিংসে। ১৫ বলে সমান ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
খুলনার হয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। নাসুম আহমেদ ও নাহিদুল ইসলাম ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইগার্স।
লাক্কাতুরার ২২ গজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। দলীয় ৩৩ রানে ফিরে যান টপ অর্ডারে নামা হাবিবুর রহমান সোহান। বিজয় (১২) ও সোহান (২) খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও একাদশে সুযোগ পেয়ে রান করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন।
দলীয় ৬১ রানের মাথায় যখন ইমন যখন আউট হন, তখন তার নামের পাশে ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান। তবে ক্রিজে এসেই গোল্ডেন ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যর্থ হন মাহমুদুল হাসান জয়, দাসুন শানাকা ও নাহিদুল ইসলাম। ২ উইকেটে ৬০ রান থেকে ৮৮ রানে ৭ উইকেট নেই খুলনার।
দলের এই বিপর্যয়ের মুখেই হাল ধরেন দুই বিদেশি নওয়াজ ও ফাহিম। দুজনে মিলে ৬৭ রানের ঝড়ো এক জুটি গড়ে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে ভূমিকা রাখেন। একশ রানই যেখানে শঙ্কার মুখে ছিল, সেখান থেকে দেড়শ রানের বেশি পুঁজি এনে দেন এই দুই পাকিস্তানি তারকা। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩২ রানের ক্যামিও খেলেন ফাহিম আশরাফ। তবে ২৩ বলে ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নওয়াজ।
বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন শোয়েব মালিক। ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post