নিজস্ব প্রতিবেদক:: মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে ঘিরেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের পথচলা। আজ থেকে শুরু হওয়া বিপিএলেও মাশরাফীকে নিয়েই পরিকল্পনা করে স্ট্রাইকার্স। সবার আগে দলে নেয় জাতীয় দলের এই অধিনায়ককে। আগের বিপিএলে শুধু নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই খেলেছেন দলটিতে।
এবারো সিলেটের অধিনায়ক হিসেবে ছিলেন মাশরাফী। তবে আওয়ামীলীগের সরকার পতনের পর আড়ালে চলে যাওয়া সাবেক এই সংসদ সদস্য এবারের বিপিএল খেলতে পারছেন না সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। বিপিএল আজ শুরু হলেও মাশরাফী এখনো প্রকাশ্যে আসেননি। ক্রিকেটেও নেই দীর্ঘ দিন থেকে।
শেষ পর্যন্ত তাই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব অলরাউন্ডার আরিফুল হকের কাঁধে তুলে দিতে হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। এবারের বিপিএল সিলেটের অধিনায়কত্ব করবেন আরিফুলই। সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়কত্ব আরিফুল বছর চারেক আগে সবশেষ আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন। বিপিএল ছাড়া অন্য কোনো দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাননি এই সময়টাতে। সবশেষ এনসিএল টি-২০ খেলেছেন মাত্র। তার কাঁধেই নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে স্ট্রাইকার্সরা। বিপিএল শুরুর আগের দিন অধিনায়কের নাম জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত মাশরাফীর অপেক্ষা করবে।
তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাশরাফীর খেলার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। শুধু মাশরাফী নয়, সাকিবও খেলতে পারছেন না চিটাগাং কিংসে। দেশের বাইরে থাকা সাকিব প্রকাশ্যে থাকলেও আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়াতে দেশে আসতে পারছেন না। তাদের দু’জনের নামেই আছে মামলা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে যাওয়া এই ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় কোন কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করতে না দেওয়ার ঘোষনা দিয়েই রেখেছে।
বিপিএল শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে আসা সিলেটের প্রধান কোচ এ.কে.এম মাহমুদ ইমন জানিয়েছেন শেষ পর্যন্ত তারা মাশরাফীর জন্য অপেক্ষা করবেন। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে সব কিছু। যদি তিনি না খেলতে পারেন, তাহলে শেষ মূহুর্তে তার বদলী নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্কোয়াড নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডের অবস্থা- স্থানীয় সবাই ছিল অনুশীলনে। নিলাম থেকে যাদের নিয়েছি তারা সবাই এভেইলেবল ছিল শুধু মাশরাফি ছাড়া। আর আমাদের বিদেশি খেলোয়াড় আজকে দুজন ছিল, দুজন ইতোমধ্যে হোটেলে চলে এসেছে। বাকিরা অন দ্য ওয়ে।’
যদিও কোচ এ.কে.এম মাহমুদ ইমন জানিয়েছেন, ফিটনেস একটা বড় সমস্যা। ফিট থাকলেই তার দল বিবেচনা করবে এই তারকাকে। তিনি বলেন, ‘মাশরাফি আমাদের স্কোয়াডে এখনও আছে। কারণ এই দলের ওতপ্রোত অংশ হচ্ছে মাশরাফি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে (মাশরাফির খেলা)- ও কী ফিল করছে, ফিটনেসের অবস্থা কী। ও যদি খেলার পর্যায়ে থাকে বা পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই খেলবে। ‘কথাবার্তা চলতেছে। কিন্তু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’
শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন জানিয়ে মাহমুদ ইমন বলেন ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ও ফিট হবে না খেলার জন্য, আমরা মনে করি ততদিন পর্যন্ত আমরা বিবেচনায় আনবো না ওকে। আমরা ওর জন্য অপেক্ষা করবো। এটা ওর কল। ও যখনই বলবে খেলার জন্য তৈরি আছে। তারপরও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। যখন আর সময় থাকবে না। তখন ওই জায়গায় আমরা অন্য খেলোয়াড় ডাকবো।’
এসএনপিস্পোর্টসটােয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০