স্পোর্টস ডেস্কঃ আইপিএলে টানা দ্বিতীয় হার দেখল দিল্লি ক্যাপিটালস। মঙ্গলবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। স্কোয়াডে থাকলেও প্রথম ম্যাচের মত এবারো বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানকে খেলায় নি দিল্লি। তাঁর বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যানরিখ নরকিয়া ছিলেন আজ বেশ খরুচে।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৬২ রান করে দিল্লি। রান তাড়ায় ১১ বল ৬ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দুর্দান্ত এক ফিফটি হাঁকিয়েছেন গুজরাটের সাই সুদার্শন। ৪৮ বলে ৬২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটার। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ডেভিড মিলার করেন মাত্র ১৬ বলে ৩১ রান। তাতে বড় জয় পায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও ধরে রাখতে পারেনি দিল্লি। ২.৪ ওভার স্থায়ী ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর অস্বস্তিতে পড়ে দল। পাওয়ার প্লে শেষ ওভার আগে ফিরেন টপ অর্ডারে নামা মিচেল মার্শ (৪)। টানা দুই ম্যাচে রান করতে ব্যর্থ তিনি। এক প্রান্ত আগলে রান সচল রাখার চেষ্টা চালান অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তবে তিনিও দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ফিরলে বিপদ বাড়ে দিল্লির।
উইকেটে এসে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান আরেক বিদেশি তারকা রাইলি রুশো। আলঝারি জোসেপের ওভারে পরপর দুই শিকারে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। উইকেটে এসে অভিষিক্ত অভিষেক পোড়েল ৩১ রানের জুটি গড়েন সরফরাজ খানের সাথে। তবে নিজের শুরুটা ভালো করলেও ২০ রানের বেশি করতে পারেন নি পোড়েল। অভিজ্ঞ রশিদ খানের বলে আউট হন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে অক্ষর প্যাটেল ও সরফরাজের ২৯ রানের জুটি দিল্লিকে স্বস্তি দেয়। ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৩০ রান করে সরফরাজও আউট। শেষ দিকে অক্ষরের ব্যাটে চড়ে দেড়শ রান পার করা পুঁজি পায় দিল্লি। ২২ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করেন অক্ষর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৩৭ রান করেন ওয়ার্নার।গুজরাটের হয়ে ৩১ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন রশিদ খান। ৩ উইকেট পেলেও, মোহাম্মদ শামি খরচ করেন ৪১ রান। ২ উইকেট আলঝারি জোসেপের।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাটের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা যোগ করেন ২২ রান। নিজের প্রথম ওভারে এসে প্রথম বলেই ঋদ্ধিমানকে বোল্ড করেন প্রোটিয়া পেসার নরকিয়া। এরপর দ্বিতীয় ওভারে এসে প্রথম বলে তিনি একই কায়দায় বোল্ড করে আউট করেন শুভমান গিলকে। চাপে পড়ে গুজরাট। আর সেই চাপ আরো বাড়ে অধিনায়ক হার্দিক (৫) ফিরলে।
জস লিটলের বদলি হিসেবে ইম্পেক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন বিজয় শঙ্কর। তাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন সুদর্শন। শঙ্কর ২৩ বলে ২৯ করে ফিরে গেলে ডেভিড মিলারকে নিয়ে গুজরাটকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সুদর্শন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৮ বলে ৬২ রান। শঙ্কর করেন ২৩ বলে ৩ চারে ২৯ রান। আর মিলারের ১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ছিল ২ করে ছক্কা ও চারের মার।
দিল্লির হয়ে বোলিংয়ে ২ উইকেট পেলেও নরকিয়া রান খরচ করেছেন প্রায় ১০ রান করে। ৪ ওভারে ২ শিকারে তাঁর খরচ ৩৯ রান। মুকেশ কুমার ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মিচেল মার্শ ৩.১ ওভারে ২৪ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট। ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পান নি কুলদ্বীপ যাদব।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post