স্পোর্টস ডেস্কঃ জয় দিয়ে ২০২৪ আইপিএল শুরু করল চেন্নাই সুপার কিংস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে আজ বড় জয় পেয়েছে তারা। শুক্রবার আগে ব্যাট করে ১৭৩ রান করে ব্যাঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে শিবাম দুবে-রাচিন রাবীন্দ্রর ব্যাটে ৬ উইকেটের বড় জয় পায় চেন্নাই।
১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও আইপিএলে অভিষিক্ত রাচিন রবীন্দ্র। অধিনায়ক রুতুরাজ ১৫ রান করে ফিরে গেলেও ১৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র। ৩ নম্বরে নামা আজিঙ্কা রাহানে আর ৪ নম্বরে ক্রিজে আসা ড্যারিল মিচেলও রানের চাকা সচল রেখেছেন। রাহানে করেছেন ১৯ বলে ২৭ আর মিচেল ১৮ বলে ২২। এরপর বাকি কাজটা সেরেছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও শিবাম দুবে।
জাদেজা ২৫ এবং দুবে অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রানে। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন গ্রিন। এর আগে বল হাতে চেন্নাইয়ের নায়ক মুস্তাফিজ। নিজের প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুকে নাড়িয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ফাফ ডু প্লেসি, বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ক্যামেরুন গ্রিনের উইকেট নেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। ম্যাচ সেরাও হন তিনি।
আইপিএলে সাত আসরে, ভিন্ন পাঁচ দলের হয়ে খেলে মুস্তাফিজের সেরা বোলিং এটিই। আগের সেরা বোলিং ছিল ১৬ রানে ৩ উইকেট, ২০১৬ সালে তার প্রথম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। ব্যাঙ্গালুরের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারে এসে জোড়া উইকেটের দেখা পান বাংলাদেশের এই পেসার। এরপর নিজের স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে এসেও দুই উইকেট শিকার করেন তিনি। এবার মুস্তাফিজ আউট করেন কোহলি ও গ্রিনকে।
ইনিংসের ১২তম ওভারে মুস্তাফিজকে আবার বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন চেন্নাই অধিনায়ক। এসে কোহলির পর তুলে নেন গ্রিনকে। ২ ওভারে ৪ উইকেট পেতে মুস্তাফিজ রান দিয়েছেন ৭টি। চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। ঝোড়ো শুরু করে বেঙ্গালুরু। প্রথম ৪ ওভারে তারা তোলে ৩৭। রানের গতি কমাতে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফিজকে আক্রমণে আনেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ। প্রথম ওভারেই ঝলক ফিজের। তৃতীয় বলে পান উইকেট।
মারকুটে শুরু করেছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। কাটারে ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ককে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ বানান ফিজ। ২৩ বলে ৩৫ রানের থামে ডু প্লেসির ঝড়। দুই বল পর আরও এক উইকেট ফিজের। তাঁর সুইং বুঝতে না পেরে ব্যাটে লাগিয়ে এজ হন রজত পাতিদার (০), সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ফিজের খরচ মাত্র ৪ রান। ১২তম ওভারে তাঁকে কোহলি মারতে গিয়েছিলেন ছক্কা। কিন্তু বাউন্ডারিতে রাহানে আর রাচিন দুজন মিলে দারুণ বোঝাপড়ায় নেন ক্যাচ। ২০ বলে ২১ করে ফেরেন কোহলি। ওই ওভারেই আরেক সেট ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনকে দুর্দান্ত কাটারে বোল্ড করেন ফিজ। ২২ বলে গ্রিনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার ফিজের।
এরপর দারুণ জুটি গড়েন কার্তিক ও অনুজ রাওয়াত। এই জুটিতে অন্যদের ব্যর্থতায়ও লড়াইয়ের জন্য দারুণ পুঁজি তুলে নিয়েছে ডু প্লেসির দল। কার্তিক ২৬ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন আর ২৫ বলে ৪৮ রান করে শেষ বলে রান আউট হন রাওয়াত। জবাব দিতে নেমে রাবিন্দ্রর ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে চেন্নাই। অধিনায়ক গায়কোয়াড় ১৫ বলে ১৫ করে আউট হয়ে গেলেন রাচিন সমান বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস। এরপর আজিঙ্কা রাহানে আর ড্যারেল মিচেল দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেন। রাহানে ১৯ বলে ২৭ আর মিচেল ১৮ বলে করেন ২২ রান। এরপর শেষটা রাঙান জাদেজা ও দুবে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post