স্পোর্টস ডেস্ক:: স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেষ বিদায় দিয়েছে ক্রীড়াঙ্গণ। শেষ যাত্রায় তার প্রিয় ক্লাব মোহামেডান আর বাফুফে ভবনে গেছেন নিথর দেহ নিয়ে। ক্রীড়াঙ্গণের দুই জায়গাতেই শ্রদ্ধা ও ভালােবাসায় সিক্ত হয়েছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মোহামেডানের প্রাঙ্গনে জাকারিয়া পিন্টুর মরদেহ নিয়ে আসলে শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। জাকারিয়া পিন্টুর সঙ্গে মাঠে যাঁরা খেলেছেন, তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। স্মৃতিচারণা করেন তাঁরা।মোহামেডান ক্লাবে তাঁর জানাজায় উপস্থিত ছিলেন মোহামেডানের সাবেক অধিনায়ক মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন। পাকিস্তান জাতীয় দলে এক সঙ্গে খেলেছেন, মোহামেডান ক্লাবেও ছিলেন সতীর্থ।
মোহামেডান ক্লাবে নামাজে জানাজার আগে ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর মরদেহে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মোহামেডান ক্লাবের সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল মুবীন, মোহামেডানের ফুটবল কমিটির প্রধান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর ও ক্লাবের আজীবন সদস্য মোসাদ্দেক আলী।
মোহামেডান ক্লাবেই জাকারিয়া পিন্টুর জানাজার আগে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্মান। বাফুফে ভবনেও তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান ফুটবল অঙ্গনের অভিভাকেরা। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল থেকে শুরু করে পিন্টুর এক সময়ের সতীর্থরাও হাজিয়ে হয়ে ছিলেন।
সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। রোববার বিকেলেই হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর শঙ্করে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ার কারণে তাকে নেয়া হয়েছিলো সিসিইউতে।
সেখান থেকে আর ফিরলেন না দেশের ফুটবলের প্রথম অধিনায়ক। সেদিন দুপুর পৌনে ১২টায় হাসপাতালের সিসিইউতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জাকারিয়া পিন্টু। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকাল তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। স্বাধীন বাংলার প্রথম অধিনায়ক মৃত্যুকালে তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০