স্পোর্টস ডেস্ক:: সাকিব আল হাসানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বেশ। আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় দেশেই ফিরতে পারছেন না তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটা বড় অংশই তাকে আর জাতীয় দলে দেখতে চায় না।
সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলতে আগে দেশে আসতে চেয়ে ছিলেন, ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে খেলতে চেয়েছিলেন তবে পারেননি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলা হচ্ছে না তার। বিপিএলে চিটাগাং কিংস এই তারকাকে দলে নিয়েও খেলাতে পারছে না। তার দেশে আসারই সুযোগ নেই।
ভারতের সফরে সবশেষ খেলেছেন বাংলাদেশ দলে। এরপর আফগান সিরিজ, ওয়েস্ট সফর কোথাও খেলা হয়নি সাকিবের। তার মধ্যে আবার কাউন্টিতে খেলার পর তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে। বোলিংয়ে নিষিদ্ধ আছেন তিনি। তবুও এই সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চাইছে বিসিবি।
ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমদ জানিয়েছেন, সাকিবের জন্য তারা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেলেই সাকিবকে দলে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। শুক্রবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে এসে সাকিব ইস্যুতে কথা বলেন বিসিবিপ্রধান।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারটা আমি বলেছি, আসলে এটা আমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমি বলেছিলাম। মন্ত্রণালয় যখন বলেছে আমরাই এখানে ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের যে ক্রীড়া উপদেষ্টা আছেন, তিনি বলেছেন সাকিব খেলবে, সরকার তার যে সমস্যাটা সেটা দেখবে। তারপর শেষে যখন আসলো যে, এটাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে তখন বন্ধ হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো দেশের বাইরে…। এটা বিপিএলের মাঝে নির্বাচকদের সঙ্গে বসেই একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সরকারের সঙ্গে সাকিবের ইস্যুতে আলোচনা করবেন জানিয়ে ফারুক আহমদ বলেন, ‘সাকিবকে যেন খেলানো যায়, সেজন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো। সাকিবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো (খেলতে পারবে কিনা)।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০