নিজস্ব প্রতিবেদক:: হারলেই বিদায়। এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে সাকিব বাজি ধরলেন মেহেদী হাসান মিরাজকেই। টস হেরে আগে ফিল্ডিংয়ে নামতে হয়েছে বরিশালকে। সাকিব ইনিংস উদ্বোধনী পাঠিয়ে দিলেন মিরাজকে। নিয়মিত ওপেনার না হলেও মাঝে মধ্যে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন এই অলরাউন্ডার।
অধিনায়ক সাকিবের দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন মিরাজ। হতাশ করেননি। ব্যাট হাতে তিনিই দলের সেরা স্কোরার। তার ফিফটিতেই রংপুর রা্ইডার্সকে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশালের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি। দলীয় অর্ধশতকের আগেই ফিরেন ওপেনার ফ্লেচার। ইনিংসের ষষ্ট ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৪৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১২ রানে সাজঘরে ফিরেন এই ক্যারিবিয়ান। তবে এক প্রান্তে মিরাজ দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১১৫ রানে রিয়াদের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। চার চার ও এক ছয়ে ২১ বলে ৩৪ রান করেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া মিরাজ তৃতীয় উইকেটে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৯ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে। ৪৮ বলের ইনিংসে নয়টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তার ব্যাটেই দারুণ শুরু পায় বরিশাল। তার বিদায়ের পর আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুই বিদেশী ভানুকা রাজাপাকসে ও করিম জান্নাত। তিন চার ও এক ছয়ে ২৫ বলে ৩৩ রানে করিম জান্নাত ও এক ছয় এবং এক চারে ১০ বলে ১৭ রানে রাজাপাকসে অপরাজিত থাকেন।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে দাসুন শানাকা ২টি ও রাকিবুল হাসান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০00
Discussion about this post