নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দারুণ শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লে’তেই ঘুরে দাঁড়িয়ে উল্টো স্বাগতিকদের উপর চাপ দেয় সফরকারীরা। ইনিংসজুড়েই দুই দলের দারুণ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
সিরিজে সমতায় ফিরতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৬৬ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। শরিফুলের করা প্রথম ওভার থেকে মেইডেন তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের বলে আভিষ্কা ফার্নান্দো ফিরলে সেই চাপ বাড়ে আরও।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি সফরকারীরা। ২ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৫ রান থেকে পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান তুলে লঙ্কানরা। শেষ চার ওভারে ৪৪ রান তুলে উল্টো বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয় অতিথিরা।
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিসের জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দেন সৌম্য সরকার। নবম ওভারে ইনফর্ম কুশলকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের তালুবন্দি করেন তিনি। ২২ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করে ফিরে যান কুশল।
পরের ম্যাচেই নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রান আউট হন আরেক সেট ব্যাটার কামিন্দু। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রানের ক্যামিও খেলে যান। পরপর দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। যার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দলীয় একশ রানের আগেই লঙ্কানদের চতুর্থ উইকেট হিসেবে সাদিরা সামারাবিক্রমা ফেরায় দল।
শেখ মেহেদীর বলে আউট হওয়ার আগে ঝড় তোলার চেষ্টা করে ১৪ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও খেলে যান অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। এরপর সফরকারীদের ইনিংস টানেন দুই অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকা। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের রানের জুটিতে ভর করেই দেড়শ পার করা চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় লঙ্কানরা। ম্যাথিউস ২১ বলে ৪ বাউন্ডারির মারে ৩২ রানে এবং ১৮ বলে ১টি করে চার ও ছয়ের ২০ রান করে অপরাজিত দাসুন শানাকা।
উইকেট না পেলেও, বাংলাদেশের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল। ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ ২০ রান দিয়েছেন মাত্র। ১টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ, তাসকিন, সৌম্য ও মেহেদী।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post