স্পোর্টস ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে আজ কুয়েতের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে বেঙ্গল টাইগাররা। ব্যাঙ্গালোরে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে বাংলাদেশ। পুরো আসরের মতো শনিবার প্রথম সেমিতে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কুয়েতের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেও বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা বেজেছে।
২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর- সাফের ফাইনালে খেলার আশা পূরণ হলো না বাংলাদেশের। ম্যাচের ১০৬ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন কুয়েতের ডিফেন্ডার আব্দুল্লাহ আম্মার বলৌসি। পুরো ম্যাচে ‘দেওয়াল’ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো কোনো সুযোগই পান নি। বলৌসির মাটি কামড়ানো শট জালে জড়ায়। এরপর ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি হাবিয়ের কাবরেরার দল।
সেমিফাইনালে নিজেদের চেয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা কুয়েত ভড়কে দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশ খেলেছে ম্যাচটা, তার প্রশংসা করতেই হবে। পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশ খেলেছে সাহসী ফুটবল। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হওয়ায় গোলটি পায় নি। ম্যাচের শুরুতেই সাফের অতিথিদের বিপক্ষে এগিয়ে যেতে পারত কাবরেরার দল।
দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত থেকে দারুণ ক্রস দিয়েছিলেন রাকিব হোসেন। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা আগের দুই ম্যাচের নায়ক শেখ মোরসালিন যথেষ্ট সময় পেলেও শট নেন গোলরক্ষকের শরির বরাবর। ফলে সহজেই তা ঠেকিয়ে দেন কুয়েতের গোলরক্ষক। প্রথম দফায় মিস করা এই তরুণ ফিরতি বলও পেয়ে যান। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বাধা পেরিয়ে দ্রুত শট নিতে হতো তাকে। সেটা ঠিকমতো নিতে না পারা তার শটটি গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়।
গোল মিসের কয়েক মিনিট পরেই গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ দল। কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিল কুয়েত ফুটবলার। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো একপাশে থাকায় বাংলাদেশ গোল খেয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেখানে একেবারে গোললাইন থেকে দারুণ চেষ্টায় বল ফেরত পাঠান এক বাংলাদেশি ডিফেন্ডার। ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল।
২৯ মিনিটে আল রশিদির শট জিকো অনেকটা লাফিয়ে এক হাতে বিপদমুক্ত করার পর দ্রুত হেডে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল। ৪০ মিনিটে আল রশিদির শট ঝাঁপিয়ে কর্নার করে দেন বসুন্ধরা কিংসে খেলা জিকো। ৬১ মিনিটে তিনি আটকান কুয়েতের ফ্রি-কিক। পরপরই আরেকটি আক্রমণ রুখে দেন এই গোলরক্ষক। ৭১তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে উঠেছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়। কিন্তু সে আক্রমণ পূর্ণতা পায়নি রাকিব-ফাহিম অফসাইডের ফাঁদে পড়ায়।
৭৪তম মিনিটে আল রশিদির সাইড ভলি ফেরান বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো। পুরো ম্যাচে ‘চীনের প্রাচীর’ হয়ে ওঠা বাংলাদেশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে সব অস্ত্র ব্যবহার করেও গোল পাচ্ছিলেন না কুয়েতের পর্তুগিজ কোচ রুই ফার্নান্দো বেন্তো। অবশেষে অতিরিক্ত সময়ে এসে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের হৃদয় এফোঁড়ওফোঁড় করে দিয়ে উল্লাসে মাতে কুয়েতের ডাগ আউট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post