স্পোর্টস ডেস্কঃ এবারের নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রুবিয়ালেস পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পদক নিতে আসা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জেনিফার হারমোসোকে ঠোটে চুমু দিয়ে ‘ভাইরাল’ হন। এ সময় আনন্দে আপ্লুত হয়ে কয়েকজনকে কোলেও তুলে নেন তিনি। স্পেনের সংস্কৃতি অনুযায়ী যা অতি স্বাভাবিক দৃশ্য।
রুবিয়ালেসের বিতর্কিত কাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা স্পেন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়ার দাবি তোলেছেন ভুক্তভোগী হারমোসো। এদিকে রুবিয়ালেস পদত্যাগ না করায় প্রধান কোচ জর্দ ভিলদা ছাড়া স্পেন নারী জাতীয় দলের বাকি সব কোচ পদত্যাগ করেছেন।
সহকারি কোচ মন্তসে তোমে, হাভিয়ের লের্গা ও ইউজেনিও গনসালো মার্তিন, ফিজিও ব্লাঙ্কা রোমেরো মোরালেদা এবং গোলকিপিং কোচ কার্লোস সানচেস সরে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছয় জন কোচও পদত্যাগ করেছেন।
কোচদের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিনি (রুবিয়ালেস) এমন একটা গল্প বলেছেন, সেটায় কোনোভাবেই হারমোসেকে যা অনুভব করেছে তা প্রতিফলিত হয়নি। হারমোসো বলেছেন, তিনি আগ্রাসনের শিকার। সভাপতি যে অগ্রহণযোগ্য মনোভাব দেখিয়েছেন এবং বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে তারা নিজেদের দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছেন।’
এদিকে স্পেনের সাবেক ও বর্তমান ফুটবলারদের চরম ক্ষোভের মুখে পড়েছেন রুবিয়ালেস। এবার তাঁকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সংস্থাটির শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জর্জ ইভান পালাসিও আজ রুবিয়েলেসকে ফুটবল সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রুবিয়ালেসের উপর স্থগিতাদেশ ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করে পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য দেয়া হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক। এ দিকে পূর্ণাঙ্গ বিচারের আগে বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলবে না বলেও জানিয়েছে ফিফা।একইসঙ্গে ফুটবলার হারমোসোর সঙ্গে রুবিয়ালেসের সব ধরণের যোগাযোগ বা যোগাযোগের চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ফিফা।
এমনকি তৃতীয় কোনো পক্ষ দিয়ে এই ধরণের চেষ্টা করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। স্পেনের ফুটবল প্রধানের এই শাস্তি ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন ও উয়েফাকে জানিয়েছে ফিফা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post