নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিপিএলে তারকাদের দল ফরচুন বরিশাল। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটি পাঁচে থাকা খুলনার বিপক্ষে রীতিমতো ধুঁকছিলো। সাগরিকায় আগে ব্যাট করতে নামা বরিশাল দলীয় ১৬ রানেই তিন উইকেট আর শত রানের আগেই ছয় উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বিপর্যয়ে পড়েছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর তরুণ রিশাদ হোসেনের ব্যাটে চড়ে লড়াইয়ের পূঁজি পেয়েছে।
শুরুর বিপর্যয় সামলিয়ে নয় উইকেটে ১৬৭ রান তুলেছে ফরচুন বরিশাল। জয়ের জন্য ১৬৮ রান করতে হবে মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্সকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশাল শুরুটা করে হতাশায়। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডাক মেরে ফিরে যান ওপেনার তামিম ইকবাল। পরের বলেই ফিরে যান তিনে নামা ডেভিড মালান। দলীয় ১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বরিশাল। চারে নামে মুশফিকুর রহিম দলীয় ১৬ রানে ফিরলে বড় ধাক্কা খায় দলটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে রানআউটের শিকার হন মুশফিক।
দ্রুত দলের সেরা তিন তারকাকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া ফরচুন বরিশালকে চেপে ধরে খুলনা টাইগার্স। চতুর্থ উইকেটে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও তাওহীদ হৃদয় ৪৭ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলীয় ৬৩ রানে ইনিংসের দশম ওভারের পঞ্চম বলে হৃদয়ের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। চার চার ও এক ছক্কায় ৩০ বলে ৩৬ রান করেন এই ওপেনার।
হৃদয়ের বিদায়ের পর এক প্রান্তে আগলে রাখেন মাহমুদউল্লাহ। দারুণ ব্যাটিং করেন তিনি। তার হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে রিশাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই লড়াইয়ের পূঁজি তুলে দলটি। তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৫ বলে ৫০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রানআউটের শিকার হওয়ার আগে রিশাদ ১৯ বলে ৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। পাঁচ চার ও এক ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংসটি। ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে বরিশাল।
খুলনার হয়ে মিরাজ তিনটি ও সালমান দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০