স্পোর্টস ডেস্কঃ তাসমান সাগরপাড়ের দুই দেশের লড়াইয়ে রান পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবার আগে ব্যাট করা অজিরা ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের তাণ্ডবে এই রান পাহাড় বানিয়েছে। ধর্মশালায় অলআউট হওয়ার আগে ৩৮৮ রান করেছে প্যাট কামিন্সের দল।
ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ পুঁজি। ২০১৬ সালে করা ৫ উইকেটে ৩৭৮ রান ছিল আগের রেকর্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৯ ওভারেই ১৭৫ রান করেছেন ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার জুটি। তাতে একাধিক রেকর্ড গড়েন দুই অজি ওপেনার। চোট কাটিয়ে একাদশে ফেরা হেড ও ওয়ার্নারে পাওয়ার প্লে-তেই ১১৮ রান করে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দলীয় ১৭৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা।
এর আগে দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও হেড রীতিমতো ঝড় তুলেছেন ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসনদের ওপর দিয়ে। প্রথম ৫ ওভারে ৬০ রান পায় অস্ট্রেলিয়া। ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। হেড এই রেকর্ড স্পর্শ করেন মাত্র ২৫ বলে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের এটা দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। এর আগে ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন তিনি। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি আছে অ্যালেক্স ক্যারিরও। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ক্যারি।
ওয়ার্নার-হেডের ব্যাটে আজ অজিরা প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান তোলে ১১৮। প্রথম ১০ ওভারে রান তোলার রেকর্ডে যা যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিকে হেডের এই হাফসেঞ্চুরি এবারের বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্রুততম। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। এদিকে হাফসেঞ্চুরির ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে হেড বল খেলেন ৫৯টি। যা বিশ্বকাপে অজিদের হয়ে আরেকটি রেকর্ড সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ১৮তম ব্যাটসম্যান হেড, অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা অস্ট্রেলিয়ার ১৮তম ক্রিকেটার তিনি।
সেঞ্চুরির পর অবশ্য আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেন নি হেড। ৬৭ বলে ১০৯ রানে ফিরেন ১০ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো ইনিংস খেলে। এর আগে জমে যাওয়া ওয়ার্নার ও হেডের ১৭৫ রানের জুটি ভাঙেন কিউই স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। অনিয়মিত অফ স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। ৬৫ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৮১ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করা হেডও শিকার হন ফিলিপসের। মিচেল মার্শ থিতু হয়ে খেলতে পারেননি বড় ইনিংস, করেন ৫১ বলে ৩৬ রান। স্টিভ স্মিথ ও মারনাস লাবুশেন ড্রেসিং রুমের পথ ধরের ১৮ রান করে। এরপর কিছুক্ষণ দলকে টানেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জশ ইংলিস। তাদের জুটিতে আসে ৩৮ বলে ৫১ রান।
২৪ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪১ রান করেন আগের ম্যাচে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি হাঁকানো ম্যাক্সওয়েল। তাঁর বিদায়ের পরে কামিন্সের সঙ্গে ২২ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন ইংলিস। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮ রান করে বোল্টের বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে বিদায় নেন কিপার-ব্যাটসম্যান ইংলিস। অধিনায়ক কামিন্স মাত্র ১৪ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ৪ ছক্কা ও ২ চারের মারে। পরের টপাটপ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সেরা বোলিং করেছেন ফিলিপস। ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বোল্ট ৩ উইকেট নিয়েছেন ৭৭ রানে। এ ছাড়া মিচেল স্যান্টনার ২ উইকেট নিয়েছেন ৮০ রান দিয়ে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post