নিজস্ব প্রতিবেদক:: অধিনায়ক বদল করেও ভাগ্য বদলালো না রংপুর রাইডার্সের। দুর্দান্ত সাকিবে হাফ সেঞ্চুরি আর ইফতিখারের ব্যাটে বিপিএলের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে বরিশাল জিতলো ৬৭ রানের বড় ব্যবধানে।
সাগরিয়া ব্যাট করতে নামা বরিশাল বিপিএলের এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান গড়ার ‘রেকর্ড’ গড়ে ফরচুন বরিশাল। সাকিবের দারুণ ইনিংসের সঙ্গে ইফতিখার আহমদের ক্যামিও ইনিংসে ৩২৮ রান করে দলটি। জবাবে খেলতে নামা ইবাদত-রাব্বিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ১৭১ রান তুলতে সমর্থ হয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশালের অবশ্য শুরুটা ভাল হয়নি। দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে দলটি। অর্ধশতকের আগেই হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। একে একে ফিরেন যান এনামুল হক বিজয়, ইব্রাহিম জর্দান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহরা। দলীয় ৪৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পরই প্রতিরোধ গড়েন সাকিব ও ইফতিখার। পঞ্চম উইকেটে ৮৬ বলে তাদের ১৯২ রানের জুটিতেই রান পাহাড় গড়ে বরিশাল।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান গত ম্যাচের মতোই ছিলেন বিধ্বংসী। দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৪৩ বলে ৮৯ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে থাকেন অপরাজিত। নয় চার আর ছয় ছক্কায় তুলোধুনো করে ছাড়েন রাইডার্স বোলারদের। অধিনায়কের এমন ব্যাটিংয়ের দিনে রাইডার্সদের পাকিস্তানী ব্যাটার ইফতিখার ছিলেন আরো বিপদজনক। চার দুইয়ের ম্যাজিক স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৪৫ বলে তিন অঙ্কের ফিগার ছুঁয়েই অপরাজিত থাকেন তিনি। ১০০ রানের ইনিংসটিতে ছয় চার আর নয় ছক্কায় রংপুরের বোলারদের উপহার দেন বিভীষিকাময় এক রাত। মিরাজের ২৪ আর বিজয়ের ১৪ রানে চার উইকেটে ২৩৮ রানে থামে দলটি।
রংপুরের হয়ে হারিস রউফ ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
২৩৯ রানের পাহাড়সম টার্গেটে খেলতে নামা শোয়েব মালিকের রংপুর বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অর্ধশতকের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। শামীম হোসেনের লড়াকু ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৭১ রানে থামে দলটি। ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন নেওয়াজ। ৩১ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। ১৮ রান করেন সিয়াম আয়ুব।
বরিশালের হয়ে মিরাজ ৩টি, ওয়াসিম ও কামরুল ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post