নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হতাশাজনক আর হতশ্রী ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ বিকেলে এক ঘন্টায় দুমড়ে-মুচড়ে পড়েছিল টাইগারদের ব্যাটিং। ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইতিমধ্যেই নেই ৫ উইকেট। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন সকালে খেলতে নামবে টাইগাররা। অলৌকিক কিছু না ঘটলে সিলেট টেস্টে নিশ্চিতভাবেই বড় হার অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিশ্ব ফার্নান্দোর চতুর্থ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ’র শিকার হয়ে ডাক মেরে ফিরেন মাহমুদুল হাসান জয়। কাসুন রাজিথার করা পরের ওভারের শেষ ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল অপ্রয়োজনীয়ভাবে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ করুণারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৬)।
এরপর অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া জাকির হাসানও ফিরে যান। লাহিরু কুমারার বলে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১৯ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনার। নবম ওভারে বিশ্ব ফার্নান্দো জোড়া শিকার তুলে নেন শাহাদাত হোসেন দিপু (০) ও লিটন দাসকে (০) ফিরিয়ে। দিনের সবচেয়ে দৃষ্টিকটু শট খেলেন লিটন। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি।
নখদন্তহীন ব্যাটিংয়ে হতাশা লুকাতে পারেননি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও। দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের এমন আউটের ব্যাখ্যা সেইসব ক্রিকেটাররাই দিতে পারবেন শুধু। তবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভালো করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন টাইগারদের এই অলরাউন্ডার।
মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই সবাই হতাশায় ছিল। এরকম আউট হলে সবারই খারাপ লাগে।’
মিরাজ আরও বলেন, ‘এটার (আউট হওয়ার) ব্যাখ্যা যে খেলোয়াড় খেলে, ব্যক্তিগতভাবে সে-ই আসলে বলতে পারবে তার পরিস্থিতি কি চলছে। ওই মুহুর্তে কি চিন্তা করছে। শেষের দিকে অবশ্যই এটা কঠিন। আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। যেহেতু আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের যে আউটগুলো হয়েছে অবশ্যই হতাশাজনক। তারপরও আমরা চেষ্টা করব। মুমিনুল ভাই আছে, আমি আছি আমরা যদি একটু রান করতে পারি আমাদের জন্য ভালো হবে।’
Discussion about this post