স্পোর্টস ডেস্কঃ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে গেছে গল টাইটান্স। তাদেরকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ডাম্বুলা আউরা। ৬ উইকেটের জয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে দলটি। সাকিব আল হাসান, লিটন দাসরা পারলেন না প্রথম সুযোগে ফাইনালে যেতে। হারলেও অবশ্য আরও একটি সুযোগ আছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে পারবে টাইটান্সরা। সেখানে বি-লাভ ক্যান্ডির বিপক্ষে জিততে পারলেই ফাইনাল নিশ্চিত করবে দলটি।
তবে প্রথম ম্যাচে জয়ের সুযোগ ছিল গলের। ভালো ব্যাট করতে পারলেই জয় ছিনিয়ে আনতে পারত দলটি। ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় গল। সেই লক্ষ্য একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে মাত্র ২ বল বাকি থাকতে টপকেছে ডাম্বুলা। গলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে লাসিথ ক্রুসপুল্লের ব্যাট থেকে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৬১ বলের ইনিংসটি সাজানো ৭ বাউন্ডারির মারে। দলের ইনিংস গড়ার কারিগর তিনিই।
দ্রুত দুই উইকেট চলে যাওয়ার পর চারে নামা সাকিব আল হাসান ভালো শুরু করেন। টপ অর্ডারে নামা ক্রুসপুল্লেকে সাথে নিয়ে টাইটান্সদের ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন। দুজনে মিলে ৫১ রানের একটি জুটি গড়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব। টাইগার সুপারস্টার ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হতেই ভাঙে জুটি। অবশ্য এটিই দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।
এর বাইরে দুই ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসে (০), লিটন দাস (৮) ব্যর্থ হন। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হন অধিনায়ক দাসুন শানাকা (১২) ও নজিবউল্লাহ জাদরান (২)। হারের জন্য দলের মিডল অর্ডারের ব্যাটিংকেই দায়ী করছেন শানাকা। ম্যাচ শেষে জানান, তিনি নিজে, সাকিব ও নজিবউল্লাহ যদি রান করতে পারতেন তাহলে রান ১৬০-৭০’এ যেতে পারত।
শানাকা বলেন, ‘আমাদের সুযোগ ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ রান করার। কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট দিয়ে এসেছি। ক্রুসপুল্লেই একমাত্র শেষ পর্যন্ত ছিল। আমি, সাকিব এবং নজিবের এই উইকেটে ভালো খেলা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post