স্পোর্টস ডেস্কঃ অবশেষে বিশ্বকাপে প্রথম বড় রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। ব্যাটিং দৈন্যতা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে এসে আসরে প্রথমবার তিনশর বেশি রান করেছে টাইগাররা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান।
যদিও রানটা আরও বড় হতে পারত। তবে তাড়াহুরো করতে গিয়ে উইকেট হারিয়ে ফেলায় সেটি করতে পারেনি দল। শুরুর রানের ধারা ধরে রাখতে পারেনি শেষ পর্যন্ত। জিততে হলে অজিদের করতে হবে ৩০৭ রান।
পুনেতে পাওয়ার প্লে’তে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস মিলে প্রথম দশ ওভারে ৬২ রান তুলেন স্কোরবোর্ডে। ইনিংসের শুরুতে খানিকটা ধীর গতিতে খেললেও, ধীরে ধীরে হাত খুলেছে বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সেই জুটি ভেঙে যায়। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৭৬ রানের মাথায় আউট হয়েছেন তামিম। শন অ্যাবটের স্লো ডেলিভারিতে শর্ট বলে এজ হয়ে ক্যাচ উঠে যায়। সহজ সেই ক্যাচ নিজেই লুফে নেন অ্যাবট নিজে।
৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারির মারে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তামিম। ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের শেষ ইনিংসটি খেললেন তিনি। তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটনের সাথে জুটি গড়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু হুট করে ১৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার লুজ ডেলিভারিতে লং অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মার্নাস ল্যাবুশানের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সেই শটে ছিল না কোনো পাওয়ার। নিজের উইকেটের মূল্য না বুঝে, আরও একবার বিলিয়ে দিয়ে এলেন তিনি। অথচ খানিক আগেই হাফ চান্স থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। লিটন আউট হয়েছেন ৪৫ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করে।
লিটন দাস আউট হওয়ার পর উইকেটে এসে শান্তকে বেশ ভালোই সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনে মিলে রান তুলছিলেন বেশ দ্রুত গতিতেই। কিন্তু ২৮তম ওভারে গিয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবেরান নিতে গিয়ে আউট হয়ে পড়েন শান্ত। ৫৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। হৃদয়ের সাথে ভাঙে তার ৬৪ রানের জুটি।
এরপরই ক্রিজে আসেন রিয়াদ। তবে শান্ত’র পর মতো তিনিও অপ্রয়োজনীয় রান নিতে গিয়ে আউটের শিকার হয়েছেন। টাইগার তারকা দারুণ ছন্দময় ব্যাটিং করলেও, তাড়াহুরো করতে উইকেট হারিয়ে বসেন। ২৮ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৩২ রান করেই আউট হয়েছেন তিনি। যদিও এতে দায় আছে তাওহীদ হৃদয়েরও। আর তাকে দুর্দান্ত থ্রো’তে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন মার্নাস ল্যাবুশানে। এর আগে দারুণ থ্রো’তে তিনি ফেরান শান্তকে। লিটন দাসের ক্যাচও তিনি লুফে নেন। পুরো আসরজুড়েই দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে যাচ্ছেন তিনি। এবার ফিল্ডিংয়ের তার তৃতীয় অবদানে ভাঙল রিয়াদ-হৃদয়ের ৪৪ রানের জুটি।
রিয়াদের বিদায়ের পরই ৬১ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। তবে তার ফিফটির পরই ২১ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিম। দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে হৃদয়ও বিদায় নেন। তবে এর আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটির ইনিংসটি সাজান ৭৯ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজের ২৯ রানে ভর করে তিনশ পার করা চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাডাম জাম্পা ও শন অ্যাবট ২টি করে এবং স্টোয়নিস ১টি উইকেট লাভ করেন। বাকি ৩টি রান আউট হয়েছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post