স্পোর্টস ডেস্কঃ এশিয়া কাপের রেকর্ড শিরোপা জিতল ভারত। শ্রীলঙ্কাকে আজ নাস্তানাবুদ করেছে রোহিত শর্মার দল। বিশেষ করে মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং তোপে পড়া লঙ্কানরা আর দাঁড়াতেই পারল না। মাত্র ৫০ রানে গুঁটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ৬.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ১০ উইকেটে জিতে আবারও এশিয়ার ক্রিকেটের সেরা এখন তারা।
রোববার টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই দারুণ স্যুয়িং বোলিংয়ে ধাক্কা দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তার বেরিয়ে যাওয়া বল খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা। এরপর মঞ্চে আসেন মোহাম্মদ সিরাজ। চতুর্থ ওভারে তিনি হয়ে উঠেন বিধ্বংসী। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই লঙ্কানদের সর্বনাশ করেন ডানহাতি এই পেসার। হ্যাটট্রিকের সুযোগ হারালেও নেন ৪ উইকেট। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন সিরাজ।
২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাস। এবার সেই ভাসের দেশ এমন ঘটনার শিকার। ২০০২ সালের পর ওয়ানডেতে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়ার এটি চতুর্থ ঘটনা। যার সবশেষটি ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে চার বছর আগে, ২০১৯ সালে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে উইন্ডিজের বিপক্ষে এক ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদ। এরপর সেরকম ভয়ানক এক ওভার দেখা গেল আজ।
সিরাজ শ্রীলঙ্কার ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে পাথুম নিসাঙ্কাকে দিয়ে শিকার শুরু করেন। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ফেরান সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চরিথ আশালাঙ্কাকে। পঞ্চম বলটা ঠেকিয়ে সিরাজকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করলেও ওভারের শেষ বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও আউট হয়ে যান। পরের ওভারে এসে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করেন সিরাজ।
এর আগে মাত্র ১০ বলের মধ্যে ৫ উইকেট শিকার করেন সিরাজ। দলীয় ১২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলঙ্কা। স্রোতের বিপরীতে দুই অঙ্কে যান কুশল মেন্ডিস। যদিও টিকতে পারেননি বেশি। ৩৪ বলে ১৭ রান করে সিরাজের ভেতরে ঢোকা বলে হন বোল্ড। লঙ্কানদের স্কোর পঞ্চাশ পার হয় নয়ে নামা দুশন হেমন্তের কারণে। ১৫ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
শেষ উইকেটগুলো টপাটপ নিয়ে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৭ ওভার, ১ মেডেনে ২১ রান খরচায় সিরাজ নেন ৬ উইকেট! ওয়ানডেতে ভারতের চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার এখন এটিই। রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ফাইনাল সেরার পুরষ্কার জিতেছেন ডানহাতি এই পেসার। আর টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছে সিরাজের স্বদেশী কুলদিপ যাদব। আসরে ৫ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যদিও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার শ্রীলঙ্কার মাহিশা পাতিরানা। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি পেসার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post