স্পোর্টস ডেস্কঃ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২২২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল পাকিস্তান দল। আর এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল পাক শিবির। বাবর আজমের দল হোয়াইটওয়াশ করেছে লঙ্কানদের। ব্যাটে-বলে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোতে আগের দিন ১৩২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৬৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ফের চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। তবে মাত্র দুই ওভার খেলেই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ৫ উইকেটে ৫৭৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। মূলত মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটি পূরণের জন্যই দিনের শুরুতে আবার খেলতে নামে পাকিস্তান।
মাথায় আঘাত পাওয়া সরফরাজের পরিবর্তে কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার সাথে অপরাজিত থাকেন ১৩২ রান করা আঘা সালমান। এর আগে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। ৩২৬ বলে ১৯ বাউন্ডারি ও ৬ চারের মারে ২০১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে আউট হন। এর বাইরে সৌদ শাকিল ৫৭ ও শান মাসুদ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিথা ফার্নান্দো ৩টি ও প্রভাত জয়সুরিয়া ২টি উইকেট লাভ করেন।
শ্রীলঙ্কার করা ১৬৬ রানের জবাবে পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করে ৫৭৬ রানে। লিড দাঁড়ায় ৪১০ রানে। পাহাড়সম সেই রানের বোঝা মাথায় নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে এই ইনিংসেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি দলটি। মাত্র ১৮৮ রানে গুঁটিয়ে যায়। পুরো এক দিনও খেলতে পারেনি। আর এতেই বিশাল জয় পায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অধিনায়ক দিমূথ করুণারত্নের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।
পাকিস্তানের হয়ে একাই ৭ উইকেট শিকার করেন নোমান আলি। ৭০ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার দেখেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এর বাইরে নাসিম শাহ ৩ উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post