স্পোর্টস ডেস্কঃ জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা উঠেছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নবম আসরের। সোমবার রাতে ফাইনালে সুলতান মুলতান এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের লড়াই দিয়ে পর্দা নেমেছে টুর্নামেন্টের। ফাইনালে মুলতানকে ২ উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলেছে ইসলামাবাদ।
করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইসলামাবাদের দরকার ৮ রান। পেসার মোহাম্মদ আলির প্রথম বলে ইমাদ ওয়াসিম এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন নাসিম শাহকে। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ অনেকটাই হাতে নিয়ে আসেন নাসিম। ৪ বলে দরকার ৩। পরের দুই বলে দুই রান হলে ২ বলে লাগে মাত্র ১। ইসলামাবাদের জয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এমন সময়ে আবার নাটক। পঞ্চম বলে আলি আউট করে দেন ৯ বলে ১৭ রানের মারকুটে ইনিংস খেলা নাসিমকে। ফলে শেষ বলে ১ রান দরকার পড়ে দলটির।
মুলতান শিবির তখনও হাল ছাড়েনি। ডট হলেই তো ম্যাচ সুপার ওভারে। তবে নাসিম শাহ শেষ করে আসতে না পারলেও তার ভাই হুনাইন শাহ শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেন। উল্লাসে ফেটে পড়ে ইসলামাবাদ শিবির। ২০১৮ সালের পর এবারই প্রথম পিএসএল শিরোপা জিতল ইসলামাবাদ। তাদের তৃতীয় শিরোপার দিনে টানা তিন ফাইনাল হারল মুলতান। সবশেষ চার মৌসুমের ফাইনালে উঠলেও একবারের বেশি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের পর আরও একবার ফাইনাল হার হৃদয় ভাঙল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুলতানের। ৬ বলে ৬ রান করে ওপেনার ইয়াসির খান আউট হলে ৩ বলে ৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ডেভিড উইলি। উসমান খানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি মুলতান দলপতি। ২৬ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি জনসন চালর্সও। ৪ বলে ৬ রান করে আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। শেষ দিকে ক্রিস জর্ডানের উইকেট তুলে নিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। দারুণ বোলিং ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়েছেন তিনি।
শেষদিকে ২০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে মুলতানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন ইফতিখার। যদিও ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ইসলামাদের হয়ে ইমাদের পাশাপাশি তিনটি উইকেট নিয়েছেন শাদাব খানও। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো করেন ইসলামাবাদের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিং মুনরো। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি মুনরো। ১৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। ১০ রান করে ফেরেন আঘা সালমানও। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি শাদাব খানও। ৮ বলে ৪ রান করে দলের অধিনায়ক বিদায় নিলে চাপে পড়ে ইসলামাবাদ। এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন গাপটিল। ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই কিউই ব্যাটার। পরের বলে রান আউট হন তিনি।
২২ বলে ৩০ রান করে আউট হন আজম খানও। ৩ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হায়দার আলী। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ১ করা ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে ইসলামাদকে চাপে ফেলে মুলতান। শেষ ১২ বলে ইসলামাবাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ রান। ১৯তম ওভারে ১১ রান তুলে ম্যাচ সহজ করে ইমাদ ওয়াসিম। শেষ পর্যন্ত ইমাদের ১৭ বলে ১৯ রান এবং নাসিম শাহর ৯ বলের ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে দুই হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। মুলতানের হয়ে খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও ডেভিড উইলি, মোহাম্মদ আলী এবং উসামা মীর একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post