স্পোর্টস ডেস্ক:: ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলবে ইসরায়েল। কিন্তুু ম্যাচটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচটি বাতিলের জন্য ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনের সমর্থকেরা। যদিও ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ম্যাচটি নিয়ে।
নিরীহ ফিলিস্তিনেদর উপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইসরায়েল বিপক্ষে কখনো কখনো ম্যাচ বাতিল করে আসছে। এর বাইরে ব্যক্তিগত ইভেটেন্টে তারকারা খেলোয়াড়রা ইসরায়েলের প্রতিপক্ষ থাকলে ম্যাচ খেলা থেকে বিরত থাকছেন।
নেশন্স লিগে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচ আছে ইসরায়েলের। ওই ম্যাচটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের সমর্থকেরা। গতকাল এই ম্যাচ বাতিলের দাবিতে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।
প্যারিসে ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশনের সদর দপ্তরের সামনে এই বিক্ষোভ হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা ফুটবল ফেডারেশনের মেঝেত শুয়ে প্রতিবাদ জানান ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের। অনেকে আবার প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে দেন স্লেগান।
মিছিল সহকারে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন ‘না, না, স্তাদ দি ফ্রান্সে ফ্রান্স-ইসরায়েলের ম্যাচ হবে না’ বলে। সদর দপ্তরে এমন বিক্ষোভ হলেও ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন নিরব ছিলো। তারা কোনো মন্তব্য করেনি। কাউকে কোনো বাঁধাও দেয়নি। পুলিশও মারমুখী হয়নি।
তবে ফরাসি ফুটবল কর্তারা আগেই জানিয়ে রেখেছেন, ম্যাচটি তারা আয়োজন করতে চান এবং সেটা দর্শক উপস্থিতিতে। আগামি ১৪ নভেম্বর ফ্রান্স বনাম ইসরায়েলের ম্যাচটি অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে ইসরায়েল ও ইতালির ম্যাচের আগেও বিক্ষোভ হয়েছে। শঙ্কা ছিলো নিরাপত্তা ব্যবস্থার। তবে ইতালী কর্তৃপক্ষ সব বাধা পেরিয়ে সুষ্টু ভাবেই ম্যাচটি আয়োজন করেছিলো। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচটি চলতি বছরে ইসরায়েলের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল।
হাঙ্গেরিকে নিরপেক্ষ ভেন্যু বানিয়ে সেখানেই ম্যাচ খেলছে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর থেকে হাঙ্গেরিতে ম্যাচ খেলছে দলটি। গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকেই দেশের বাইরে খেলতে হচ্ছে ইসরায়েলকে। আবার কখনো প্রতিপক্ষ ইসরায়েলের বিপক্ষে না খেলার ঘোষণাও দিচ্ছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০