নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সুপার লিগে দারুণ জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দলটি। এই এক ম্যাচে হয়েছে তিন সেঞ্চুরি। শেখ জামালের হয়ে সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমান হাঁকিয়েছেন। মোহামেডানের হয়ে হাঁকিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও দল জিতে যাওয়ায় সেটি পূরণ করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। যদিও দলের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। মাত্র তিন রানের মাথায় ওপেনার সৈকত আলির উইকেট হারিয়ে বসে। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফিরে যান টপ অর্ডার ব্যাটার ফজলে রাব্বি। তবে আর কোনো উইকেট হারায়নি শেখ জামাল।
তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসান দুর্দান্ত জুটি গড়েন তাইবুর রহমানের সাথে। দুজনের ২১৮ রানের অনবদ্য জুটিতে আড়াইশ পার করা পুঁজি পায় শেখ জামাল। দলীয় ২৫৫ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন সাইফ হাসান। ততক্ষণে দলের হয়ে ১৪৬ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কার মারে ১২০ রানের ইনিংস খেলে ফেলেন তিনি। যদিও তিনি ফেরার পর খুব বেশি দূর যায়নি শেখ জামালের ইনিংস। ২৫৯ রানেই থামে দল। সেঞ্চুরি হাঁকান তাইবুরও। তিনি অপরাজিত থাকেন ১১৪ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১০২ রান করে।
মোহামেডানের হয়ে একমাত্র উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
২৬০ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল মোহামেডাম। তবে ৩৫ রানের বেশি টেকেনি উদ্বোধনী জুটি। ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। টপ অর্ডারে নেমে রুবেল মিয়া সুবিধা করতে না পারলেও, রনি তালুকদার এদিন রান পেয়েছেন। ৪০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করেন রনি। ৬৯ রানে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারানোর পর দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অঙ্কন ও রিয়াদের ১৭৯ রানের অনবদ্য জুটিতে ভর করেই জয়ের ভিত পায় মোহামেডান। দলীয় ২৪৮ রানের মাথায় অঙ্কনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। তবে এর আগে সেঞ্চুরি পূরণ করে ১২২ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কার মারে ১০১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর উইকেটে এসে মেহেদী হাসান মিরাজ (২) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। তবে আরিফুল হককে সাথে নিয়ে এক ওভার হাতে রেখেই একেবারে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যক্তিগতভাবে ৮৮ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। অল্পের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল।
শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেন রিপন মণ্ডল।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post