স্পোর্টস ডেস্ক:: ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই দু’টি ফাইনালে লিওনেল মেসি। লিগস কাপ জেতানোর পর এবার ওপেন কাপের ফাইনালে তুললেন দলকে। টানা দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মায়ামি ম্যাচে ফিরে টানা তিন গোল দিয়ে। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ম্যাচে ফেরার লিডও নেয় দলটি।
সিনসিনাটির বিপক্ষে ওপেন কাপের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনাল ছয় গোলেও শেষ হয় সমতায়। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে মায়ামি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে রীতিমতো উড়ছেন আর্জেন্টাইন তারকা। নিজে গোল করতে না পারলেও গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। অ্যাসিস্ট করে দলের জয়ে রেখেছেন বড় অবদান।
ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে মাস দু’এক আগে মেসি পাড়ি জমিয়েছেন মার্কিন মুল্লুকে। এরপর থেকেই বদলে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবলের চিত্র। হারতে হারতে বিপর্যস্ত থাকা শিরোপা জিতিয়েছেন একটি। আরেকটি শিরোপা জয়ের সামনে মেসিরা। ২৭ সেপ্টেম্বর শতবর্ষী এই টুর্নামেন্টটির ফাইনাল জিতলেই মায়ামির জার্সিতে মেসির দ্বিতীয় শিরোপা হয়ে যাবে।
ওপেন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়া ইন্টার মায়ামিকে ফাইনালে তুললেন লিওনেল মেসিরা। আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া অ্যাসিস্টে ওনার্দো ক্যাম্পানার জোড়া গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। যোগ করা সময়ের গোলে ওপেন কাপের সেমিফাইনালে সিনসিনাটিকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ভোরে মুখোমুখি হয় মায়ামি ও সিনসিনাটি। মেসিরা আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও ফাইনালের টিকিট কাটে প্রতিপক্ষরা। প্রথমার্ধে লিড নেওয়া সিনসিনাটি দ্বিতীয়ার্ধেও ব্যবধান বাড়ায়। পিছিয়ে পড়া মায়ামি দ্বিতীয়ার্ধে পরপর তিন গোল আদায় করে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
ম্যাচের বেশির ভাগ সময়ই বল মেসিদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। আক্রমণ ও পাসিংয়েও এগিয়ে ছিলো মায়ামি। তবে গোলের খেলায় যে গোল আদায় করতে পারেনি দলটি। লিওনেল মেসির অ্যাসিস্টে একটি গোল করতে পারলেও ম্যাচে ফিরতে তা ছিলো না যথেষ্ট।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে লুসিয়ানো অ্যাকোস্টার গোলে লিড নেয় সিনসিনাটি। শুরুতেই পাওয়া এই লিড প্রথমার্ধ পর্যন্ত ধরে রাখে দলটি। পিছিয়ে পড়া মায়ামি প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।
বিরতির দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোল করে সিনসিনাটি। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে ব্র্যান্ডন ভাজকুয়েজ ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন। পিছিয়ে পড়া মায়ামি ম্যাচে ফিরতে মরিয়ে হয়ে উঠে। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে লিওনেল মেসির পাস পথে পাওয়া বল সিনসিনাটির জালে পাঠান লিওনার্দো ক্যাম্পানা। তাতেই ব্যবধান ২-১ করে মায়ামি।
ম্যাচে ফিরতে একের পর আক্রমণ করতে থাকে মেসিরা। অতিরিক্ত সময়ে আবারো মেসির অ্যাসিস্ট থেকে লিওনার্দো ক্যাম্পানা গোল করেন। যোগ করা সময়ের ৭ম মিনিটের করা গোলে ম্যাচে ফিরে মায়ামি। সম্ভাবনা জাগে ফাইনালের। ২-২ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাত করে মায়ামি। অতিরিক্ত সময়ের সপ্তম মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাসচির পাস থেকে পাওয়া বল জালে পাঠিয়ে মায়ামি শিবিরকে উচ্ছ্বাসে ভাসান ৭৮তম মিনিটে বদলী নামা জোসেফ মার্টিনেজ। মায়ামি এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে।
পিছিয়ে পড়া ম্যাচে সমতায় ফিরতে মরিয়ে হয়ে উঠে সিনসিনাটি। একের পর আক্রমণ করতে থাকে দলটি। ম্যাচের ১১৪তম মিনিটে সমতায়ও ফিরে। ইউয়া কুবো দুর্দান্ত এক গোলে ম্যাচের স্কোর লাইন ৩-৩ করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ও। টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। ভাগ্যের খেলা টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ওপেন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে মায়ামি।
২৭ সেপ্টেম্বর শত বছরের পুরনো টুর্নামেন্টটির ফাইনাল অনুষ্টিত হবে। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে শুরু হওয়া ইউএস ওপেন দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ র্টুনামেন্ট। ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অরল্যান্ডো সিটি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post