নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিপিএলে টানা হারের ‘রেকর্ড’ করা ঢাকার কাছেও হারতে হলো সিলেটকে। ঢাকা-চিটাগাং কোথাও জয়ের দেখা পাচ্ছে না আরিফুল হকের দল। সিলেটে দুই ম্যাচ জিতেছিলো, এরপর আবারো হারের বৃত্তে স্ট্রাইকার্সরা।
চট্টগ্রামে লিটনের ব্যাটে ঢাকা ক্যাপিটালস ১৯৬ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা সিলেট স্ট্রাইকার্স রনি তালুকদের হাফ সেঞ্চুরিতেও জিততে পারেনি। শেষ ওভারে ২৩ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে দলটি ৬ রানে হেরেছে।
১৯৭ রানের টার্গেটে খেলতে নামা সিলেট শুরু থেকেই চাপে পড়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১ রানে ফিরে যান ওপেনার জর্জি মুনশে। ৫ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর তিনে নামা জাকির হাসানও হতাশ করেন। বিপিএলে দুর্দান্ত ব্যাট করা এই তারকা আজ ৭ বলে ৮ রান করে ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৩২ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো সিলেটের হয়ে তৃতীয় উইকেটে হাল ধরেন রনি তালুকদার ও অ্যারন জন্স। দলীয় ১১২ রানে ৮০ রানের জুটি ভাঙার পরই পথ হারায় সিলেট। ইনিংসের ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ৩২ বলে ৩৬ রান করে আউট হন অ্যারন জন্স। তার বিদায়ের পরই সিলেট বড় ধাক্কা খায়। দুর্দান্ত ব্যাট করা রনি তালুকদার এবার ফিরেন সাজঘরে। ৯ চারে ৪৪ বলে ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে তিনি প্যাভেলিয়নে ফিরলে সিলেটের জয়ের সম্ভাবনা কমে যেতে থাকে।
শেষ দিকে জাকের আলী ১৩ বলে ২৮ আর অধিনায়ক আরিফুল ১৩ বলে ২৯ রান করে জয়ের ক্ষীণ আশা জাগান। শেষ ওভারে ২৩ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে দুই উইকেট হারিয়ে সিলেট সাত উইকেটে ১৯০ রানে থামে।
ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে মুস্তাফিজ ও পেরেরা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজীদ তামিম দারুণ শুরুও করেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ২৮ রানে ব্যক্তিগত ২২ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর তিনে নামা জেপি কোটেজও দ্রুত ফিরেন সাজঘরে। ব্যক্তিগত ৯ রানে, ইনিংসের সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৫৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ঢাকা।
তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা মোসাদ্দেকও ফিরেন দ্রুত। দলীয় ৬২ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। ৭ বলে ৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার। এক প্রান্ত আগলে রাখা লিটন দাস চতুর্থ উইকেটে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১০৪ রানে সাব্বিরের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। দুই ছক্কায় ২১ বলে ২৪ রান করেন সাব্বির।
ওপেনার লিটন দাস পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক থিসারা পেরেরাকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দেন বড় পূঁজি। ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৮৫ রানে লিটন বিদায়ের আগে খেলেন ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস। চারটি করে চার ও ছক্কায় সাজান ৪৮ বলের ইনিংসটি। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ৩৭ রান করেন পেরেরা। ঢাকা থামে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানে।
সিলেটের হয়ে সামিউল্লাহ ও টিপু সুলতান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০