স্পোর্টস ডেস্ক:: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে টি-২০ সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। তাও এক ম্যাচ হাতে রেখে। টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতকিদের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৭ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।
টাইগারদের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ক্যারিবিয়ানরা মাত্র ১০২ রানেই গুটিয়ে গেছে। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘরের মাঠেই সিরিজ হারলো স্বাগতিকরা। ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসের শুরু থেকেই চেপে ধরে বাংলাদেশ। টাইগারদের বোলিং তোপে দলীয় ৪২ রানের আগেই ছয় উইকেট হারায় রভম্যান পাওয়েলের দল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ব্রেন্ডন কিংকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন তাসকিন আহমদ। দলীয় ১৯ রানে ব্যক্তিগত ৮ রানে সাজঘরে ফিরেন স্বাগতিক ওপেনার। তিনে নামা আন্দ্রে ফ্লেচারকে একই ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে পাঠিয়ে পরপর দুই উইকেট তুলে নেন স্পিড স্টার। রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ক্যারিবিয়ান।
এক ওভারে তাসকিনের জোড়া আঘাতের পর ওপেনার জনসন চার্লসকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন শেখ মেহদী। ১২ বলে ১৪ রান করেন এই ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ২৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো দলটি ৩২ রানেই হারায় চতুর্থ উইকেট। ৮ বলে ৫ রান পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান নিকোলাস পুরান। টাইগারদের আগুনে বোলিংয়ে অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৪১ রানে বিদায় নেন স্বাগতিক অধিনাক রভম্যান পাওয়েল। ৭ বল খেলে তিনি করতে পারেন মাত্র ৬ রান। এক রান যোগ করতেই ষষ্ট উইকেটও হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় ৪২ রানে নবম ওভারের তৃতীয় বলে তানজীম সাকিবের শিকারে সাজঘরে ফিরেন যান রোমারিও শেফার্ড। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনিও।
সপ্তম উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের শেষ চেষ্টা করেন রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। ক্যারিবিয়ানদের প্রতিরােধ গড়া জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৮৯ রানে দারুণ এক ডেলিভারিতে রোস্টন চেজের স্ট্যাম্প ভেঙে দেন তিনি। দু’টি বিশাল ছক্কা ও একটি চারে ৩৪ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন তিনি। পরের বলে মোতিকে শুন্য রানে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান এই লেগি। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে আলজারি জোসেফকে শুন্য রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশের জয়ের পথ আরো সহজ করে দেন সাকিব। দু’টি ছক্কায় ৩১ বলে ৩১ রান করে আকিল হোসেনকে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে সিরিজ জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসান তাসকিন।
বাংলাদেেশের হয়ে তাসকিন তিনটি, রিশাদ, মেহদী ও সাকিব দু’টি করে উইকেট লাভ করেন। হাসান মাহমুদ শিকার করেন একটি উইকেট।
এর আগে সেন্ট ভিনসেটে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৭ উইেটে ১২৯ রানতুলেছে। দলীয় ৮ রানে, ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বরাবরের মতো লিটন দাস আরো একবার ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১০ বলে তিন রানে ফিরেছেন সাজঘরে। তার বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরেন তানজীদ তামিমও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১১ রানে, ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরে ফিরেন তিনে নামা এই ব্যাটার।
ইনিংসের শুরুতেই দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায় ৩৯ রানে। নবম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। ১৮ বলের ইনিংসে এক চারে ১১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর ৬ রান যোগ করতে ফিরেন ইনিিংসের হাল ধরা মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৪৫ রানে দশম ওভারের শেষ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ৪৫ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন তিন চার ও এক ছক্কায়। দলীয় অর্ধশত রান পেরুতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে পঞ্চম উইকেট। ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫২ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরেন রিশাদ হোসেন। চার বলে ৫ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে শামীম হাসান ব্যাটে ঝড় তুলেন। দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি। ১৭ বলে দু’টি করে চার ও ছক্কার ইনিংসে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ বলে ২১ রান করেন জাকের আলী অনীক। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন জানজীম সাকিব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে মোতি ২টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০