স্পোর্টস ডেস্কঃ ফেডারেশন কাপে চমক জাগানিয়া ফলাফল দেখা মিললো। বসুন্ধরা কিংসকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়ে আসরের ফাইনালে উঠেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১৪ বছর পর শিরোপার দৌড়ে নাম লেখাল ঐতিহ্যবাহী দলটি। সাদা-কালো শিবিরে বড় এক উচ্ছ্বাসের দিন। নতুনভাবে জেগে উঠার দিন।
গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে প্রথম সেমি ফাইনালে ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় লিড নেয় মোহামেডান। ইম্যানুয়েল সানডের গোলে এগিয়ে যায় সাদা-কালো শিবির। সমতায় ফিরতে কিংসদেরকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৪৩তম মিনিট পর্যন্ত। দলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েলটনের গোলে সমতায় ফিরে দলটি।
ম্যাচের জয়সূচক গোলটি আসে ৫৫তম মিনিটে। বসুন্ধরা কিংসের রক্ষণের এলোমেলোর সুযোগ নিয়ে মোহামেডানের হয়ে গোল করেন সুলেমান দিয়াবাতে। এই গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল শোধ করতে পারেনি বসুন্ধরা। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।
এই জয়ে ১৪ বছর ফাইনালের মঞ্চে পা রাখলো মোহামেডান। ২০০৯ সালে ফেডারেশন কাপে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল মোহামেডান। চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে নির্ধারিত সময় গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছিল। তবে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে জিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে মোহামেডান।
এরপর দীর্ঘ পেরিয়ে গেলেও, মোহামেডানের ফাইনালে ওঠা হয়নি। ক্লাবের দুরাবস্থা, বাজে পারফর্ম্যান্স, সব মিলিয়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল সাদা-কালো শিবির। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন জাগরণের স্বপ্ন দেখছে মোহামেডান। সেই পথে এবার ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম আসর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠা দলটির জন্য বিশেষ কিছু।
এদিকে বসুন্ধরা এই প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে ব্যর্থ হলো। তারকাবহুল দলটি শীর্ষ পর্যায়ে আসার পর থেকে প্রথম তিন ফেডারেশন কাপের আসরের দুইবারই চ্যাম্পিয়ন হয়। একবার ফাইনালে হারে। চতুর্থ আসরে কমলাপুরের টার্ফে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ায়। এবার এক মৌসুম পর ফিরে সেমি ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো অস্কার ব্রুজনের শিষ্যদের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post