নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়রথ থামিয়ে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল রংপুর রাইডার্স। ৮ রানের জয়ে টেবিলের তিনে উঠল দলটি। পাঁচ ম্যাচে দুই হারের বিপরীতে তিন জয় তাদের। এই জয়ে কুমিল্লাকে চারে নামিয়ে দিয়েছে রাইডার্সরা। আসরে চার ম্যাচ খেলে দুই জয়ের বিপরীতে এখন দুই হার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
রংপুরের দেওয়া ১৬৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন লিটন দাস। এরপর ৫৯ রানের এক জুটি বেঁধে দলে স্বস্তি ফেরান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও একাদশে সুযোগ পাওয়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিংয়ে ২১ বলে ১৭ রান করা রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি।
এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সাথে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি বাঁধেন অঙ্কন। তবে যেভাবে রান তোলা প্রয়োজন, সেভাবে না হওয়ায় জয়ের পথ কঠিন হয়ে পড়ে কুমিল্লার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি ভিক্টোরিয়ান্সরা।
একেবারে শেষ ওভারে মাঠে নেমে, ৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৮ রানের ক্যামিও খেলে দলের জয়ের জন্য আফসোস বাড়িয়ে দেন জাকের আলি অনিক। এর আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে এর জন্য ৫৫ বল খেলে ফেলেন। ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। উইকেটে সেট হয়েও তার ইনিংসে রান কম হওয়াই, হারের অন্যতম কারণ। ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করেন হৃদয়।
রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২টি উইকেট লাভ করেন সর্বোচ্চ।
এর আগে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রাইডার্সদের সংগ্রহ ছিল ১৬৫ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শেষের ঝড়ে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে দলটি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো করেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও বাবর আজম। তবে ১৮ রানের বেশি টেকেনি উদ্বোধনী জুটি। ১২ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ব্রেন্ডন কিং।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে রাব্বি ও বাবর আজম মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। ২১ বলে ৩০ রান করে বিদায় নেন একাদশে সুযোগ পাওয়া রাব্বি। এই জুটি ভাঙার সাথে সাথেই রানের গতি কমে আসে। একইসাথে উইকেট হারানো শুরু করে রংপুর। এক প্রান্ত আগলে রাখা ইনফর্ম বাবর আজম ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
ব্যর্থ হন শামীম পাটোয়ারি। আহামরি কিছু করতে পারেননি মোহাম্মদ নবি। তবে ২০ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থেকে দলকে লড়াইয়ের জন্য ভালো পুঁজি এনে দিতে সহায়তা করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার সাথে ৬ বলে ১৫ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে রেইমন রেইফার ২টি উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post