স্পোর্টস ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মধ্যকার সিরিজের ক্রাইস্টচার্চে দেখা গেল টেস্ট ক্রিকেটের মাহাত্ম্য। ২৭৯ রানের মাঝারি সংগ্রহের পিছনে ছুটতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া হয়েছে নাজেহাল। যদিও তারা শেষ হাসি হেসেছে। ২৭৯ রান তাড়ায় ৮০ রানে ৫ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত হাল না ছেড়ে অসাধারণ এক জয়ে (৩ উইকেটে) কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করল অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার শেষ পর্যন্ত নায়ক হয়ে রইলেন অ্যালেক্স ক্যারি। সেঞ্চুরির খুব কাছে ৯৮ রান পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। কিন্তু, যে জয় অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে তার কাছে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ খুব একটা বড় হওয়ার কথা না। এই ম্যাচেও ক্যারির অপরপাশে সঙ্গ দিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ঠিক যেমনটা বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসে দিয়েছিলেন। ৩২ রান করেন তিনি। এর আগে মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রানের ইনিংস।
চতুর্থ দিনে ক্যারি ও মার্শ মিলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন। তাতে ভর করেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দল। শেষের কাজটি করেন ক্যারি ও প্যাট কামিন্স। দুজনের অপরাজিত ৬১ রানের জুটিতে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির কারণে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে প্রায় এক ঘণ্টা দেরি হয়। খেলা শুরুর পরে অজিদের উইকেট তুলে আগের দিনের ধারাবাহিকতার প্রমাণ দেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। কিন্তু এর পরের গল্পটি কেবল অজিদের।
এ দিন সকালের সেশনে দ্বিতীয় ওভারে ২৮ রানে ব্যাট করা মার্শের ক্যাচ ফেলেন রাচিন রবীন্দ্র। সেটি নিতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত। অস্ট্রেলিয়া জয় পেলেও ২ রানের আক্ষেপ রয়েছে জয়ের নায়ক ক্যারির। তিনি অপরাজিত ৯৮ রান করে দলকে জেতান। তাতে আর ২টি রান হলে তার সেঞ্চুরি পূর্ণ হতো। কিন্তু দলের জয়ে সেটিতে হয়তো আফসোস করবেন না অজি তারকা। যদিও তিনি জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন ম্যাট হেনরি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post