নিজস্ব প্রতিবেদক:: ২৬তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে শিরোপার পেছনেই ছুঁটছে সিলেট বিভাগীয় দল। এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকা দলটি এবার ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রোকে। সিলেটের বোলার খালেদের পেস আগুনে পুড়েছে ঢাকা মেট্রো। পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচটি সিলেট জিতেছে ইনিংসের সঙ্গে ১৩৯ রানে।
ঢাকা মেট্রো সিলেটের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। পেসার খালেদ দু্ই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন আটটি উইকেট। প্রথম ইনিংসের তিন উইকেটের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে মেট্রোকে ধ্বসিয়ে দেন তিনি। খালেদকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। প্রতি ইনিংসে তিন উইকেট করে নিয়ে তিনিও নিয়েছেন ছয় উইকেট। নাসুম প্রথম ইনিংসে শিকার করেন চার উইকেট। সিলেটের দুর্দান্ত বোলিং তোপে ঢাকা মেট্রো দেখলো ইনিংস পরাজয়।
আগে ব্যাট করা ঢাকা মেট্রো নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নামা সিলেট অমিতের সেঞ্চুরি, গালিবের হাফ সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তুলে। পিছিয়ে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রো সিলেটের বোলিং তোপে মাত্র ১০৭ রানেই গুটিয়ে যায়।
চার দিনের ম্যাচটিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের অধিনায়ক অমিত হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিলাে সেটা প্রমাণ করে দেন নাসুম, খালেদ-রাজারা। সিলেটের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। ১৩০ রানেই থামে তাদের ইনিংস। দলের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন অধিনায়ক নাঈম শেখ।
নাসুমের স্পিন ঘূর্ণি, রাজা-খালেদদের পেস আগুনে রীতিমতো ছারখার হয় ঢাকা মেট্রোর ব্যাটিং লাইন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মাহফুজুল ইসলাম রবিন। ১৭ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। ১৩ রান আসে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ব্যাট থেকে। ১০ রান করেন মার্শাল আইয়ুব।
সিলেটের হয়ে নাসুম ৯ ওভারে ১৯ রানে চারটি, রাজা ১১ ওভারে ২৮ রানে তিনটি ও খালেদ ১১.১ ওভারে ২৮ রানে তিনটি করে উইকেট লাভ করেন।
প্রতিপক্ষক অল্পতে আটকে দিয়ে ব্যাট করতে নামা সিলেট দারুণ শুরু করে। দুই ওপেনার তুষার ও পিনাকের উদ্বোধনী জুটিতে তুলে নেয় ৫৮ রান। এক ওভারের ব্যবধানে পরপর দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরেন। ১৬ রান করেন পিনাক ঘোষ, ৪২ রান করেন তুষার। দু’জনেই ফিরেন দলীয় ৫৮ রানে।
এরপরই তৃতীয় উইকেটে দিশানকে নিয়ে জুটি গড়েন অমিত হাসান। হাফ সেঞ্চুরিও আদায় করেছেন আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান অমিত হাসান। শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ১০১ রানে থামেন অমিত। ২০৪ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ১৩ বাউন্ডারিতে। আট চারে ১০৮ বলে গালিব থেমেছেন ৫৬ রানে। ৪৭ রানে অপরাজিত থেকেছেন তোফায়েল আহমদ।
ঢাকা মেট্রোর হয়ে আরিফ আহমদ চারটি ও আবু হায়দার রনি তিনটি করে উইকেট লাভ করেন।
বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া ঢাকা মেট্রো নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেম ফলোঅনও এড়াতে পারেনি। থেমে যায় মাত্র ১০৭ রানে। দলের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন মার্শাল আইয়ুব। ২৮ রান করেছেন আবু হায়দার রনি। ১৪ রান এসেছে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ব্যাট থেকে। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কোনাে ব্যাটার।
সিলেটের হয়ে খালেদ ১১ ওভারে ৪৫ রানে পাঁচটি, রেজাউর রহমান রাজা ৮ ওভারে ৩৯ রানে তিনটি, নাসুম ও নাঈম একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০