স্পোর্টস ডেস্ক:: বাইশ গজে গতির ঝড় তোলার তরুণ পেসার নাহিদ রানার যত্ম নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হয়েছে পেসার নাহিদ রানার। সিরিজের শেষ ম্যাচে বল হাতে মাঠে নেমে দারুণ বোলিং করেছেন তিনি। একের পর এক গতির বল ছুঁড়েছেন আফগান ব্যাটসম্যানদের দিকে।
ঘন্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতিতে বল করে বিশ্বের নজর কেড়েছেন নাহিদ রানা। ধারাবাবিহক ভাবেই ১৫০’র আশপাশে বোলিং করেছেন তিনি। এমন গতিদানব বাংলার পেস ইউনিটকে দিয়েছেন নতুন পরিচয়। নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটারের বেশি বল খুব একটা করতে দেখা যায় না টাইগার পেসারদের।
ওয়ানডের আগে টেস্টেও গতির ঝড় তুলেছিলেন নাহিদ রানা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ৫ ম্যাচে সাদা জার্সি গায়ে গতির ঝড় তুলেন এই ডানহাতি। এবার ওয়ানডেতের স্বপ্নের মতো বোলিং করেছেন। গতির ঝড়ে বিপর্যস্ত করেছেন আফগান ব্যাটসম্যানদের। তবে তার এমন দারুণ বোলিংয়ের ম্যাচও বাংলাদেশ হেরেছে। হেরেছে সিরিজও।
এক দিনের ক্রিকেটের ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই আফগানদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন রানা। বিধ্বংসী বোলিং করে রঙ্গিন জার্সিতে অভিষেক ম্যাচ জয়ে রাঙাতে চেয়েছিলেন রানা। শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে টপকে গেছে আফগানরা।
টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানে যেভাবে গতির ঝড় তুলেছিলেন, সোমবার সেখান থেকেই শুরু করলেন রানা। শারজার স্লো পিচেও গতকাল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের আশেপাশে বোলিং করেন রানা। শেষ ওয়ানডেতে রানার সর্বোচ্চ গতির বলটি ছিল ১৫১ কিলোর।
রানার এমন দুর্দান্ত গতির ডেলিভারি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইয়ান বিশপ। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে গতির কারণেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সাবেক উইন্ডিজ তারকা। বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হয়ে কাজ করা বিশপ বিসিবিকে পরামর্শ দিয়েছেন নাহিদ রানাদের যত্ম নিতে।বোলারদের জন্য শীর্ষস্থানীয় কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞ এবং ডায়েটিশিয়ান নিয়োগ করতেও বলেছেন বিসিবিকে।
এক্সে বিশপ লেখেন, ‘বাংলাদেশের উচিত আরও বেশি কর্মঠ হওয়া। তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা শক্তি এবং কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞ ও ডায়েটিশিয়ান নিয়োগ করা উচিত। বিশেষ করে নাহিদ রানা এবং তাদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণের সঙ্গে তাদের যুক্ত করা উচিত। খুবই চিত্তাকর্ষক গতি।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০