নিজস্ব প্রতিবেদক:: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের জাকের আলী অনীক ও তাওহীদ হৃদয়। হৃদয়ের হৃদয় ছোঁয়া ইনিংসে বাংলাদেশ পেয়েছে লড়াইয়ের পূঁজি। বিপর্যয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাকের আলীকে নিয়ে ষষ্ট উইকেটে রেকর্ড গড়েছেন হৃদয়।
মাত্র ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। ষষ্ট উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও জাকের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে যা রেকর্ড। এর আগে ষষ্ট উইকেটে কখনো এতো রানের জুটি হয়নি। ২০৬ বলে ১৫৪ রানের অবিশ্বাস্য গড়তে দু’জনে চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যটিং করেছেন।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এর আগে ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩১ রানের জুটি ছিলো সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার মার্ক বোচার ও জাস্টিন কেম্প সেই জুটি গড়েছিলেন। ওই ম্যাচে পাকিস্তানকে ১২৪ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। এবার বাংলাদেশের হৃদয়-জাকের জুটি সেই রেকর্ড টপকে গেলো।
শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলআউট হলো ২২৮ রানে। তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি আর জাকের আলী অনীকের হাফ সেঞ্চুরিতে ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের পূঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মহা বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দলীয় ৩৫ রানেই হারায় পাঁচ উইকেট। ষষ্ট উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন জাকের আলী অনীক।
৩৫ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন জাকের আলী অনীক ও তাওহীদ হৃদয়। ষষ্ট উইকেট জুটিতে স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগাররা ৪২.৪ ওভারে ছয় উইকেটে ১৮৯ রান তুলেছে। ৬৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে প্যাভেলিয়নে ফিরেছেন অনিক।
ব্যাট করতে নামা টাইগাররা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে হারায় ওপেনার সৌম্য সরকারকে। ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ওভারের চতুর্থ বলে অধিনায়ক শান্তকে হারায়। তিনে নামা টাইগার অধিনায়কও রানের খাতা খুলতে পারেননি। দুই রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ ২৬ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট। চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরেন সাজঘরে। তার আগে তৃতীয় উইকেটে তানজীদ তামিমের সঙ্গে গড়েন ২৪ রানের জুটি।
নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৩৫ রানে চতুর্থ উইকেটে প্যাভেলিয়নে ফেরেন ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম। এক প্রান্ত আগলে রাখা টাইগার ওপেনার চার চারে ২৫ বলে করন ২৫ রান। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ডাক মারেন। সিনিয়র এই ক্রিকেটারের বিদায়ে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
ষষ্ট উইকেটে দলের হাল ধরেন হৃদয় ও জাকের। ১৫৪ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলান তারা। বাংলাদেশ রাখেন ম্যাচের মধ্যেই। ইনিংসের ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১৮৯ রানে জাকেরের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। চার বাউন্ডারিতে ১১৪ বলে ৬৮ রান করেছেন জাকের।
হৃদয় ১১৪ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। বিপর্যয়ে পড়া দলকে ব্যাট হাতে টেনেছেন তিনি। ষষ্ট উইকেটে জাকের আলীকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ‘রেকর্ড’ গড়া জুটিও গড়েছেন। মাঝে রিশাদ ১২ বলে করেছেন ১৮ রান। তার বিদায়ের পর ইনিংসের দুই বল আগে হৃদয় ১০০ রানে আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ২২৮ রানে।
ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামী পাঁচটি, হার্তিশ রানা তিনটি ও অক্ষর প্যাটেল দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০