স্পোর্টস ডেস্কঃ আরও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুই দল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত একটায়। ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফাইনালের আগে শক্তিমত্তার বিচারে ঢের এগিয়ে রিয়াল। অর্থাৎ রিয়ালের ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন অনেকে। তবে ছেড়ে কথা বলবে না ডর্টমুন্ডও।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে সর্বোচ্চ ১৪ বারের শিরোপা জয়ী রিয়াল। অন্যদিকে ডর্টমুন্ড এখন পর্যন্ত একবারই এই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে, ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে রিয়াল। ১৪ বারের দেখায় তাদের জয় ৬ ম্যাচে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পর পিএসজি, এসি মিলান, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও ডর্টমুন্ডের গ্রুপটাকে বলা হয়েছিল ‘মৃত্যুকূপ।’ প্রথম ম্যাচেই জার্মানির দলটি ২-০ গোলে হেরে বসে পিএসজির বিপক্ষে।
সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে গ্রুপের বাকি পাঁচ ম্যাচেই অপরাজিত (৩ জয়, ২ ড্র) থেকে অবিশ্বাস্যভাবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে নাম লেখায় ডর্টমুন্ড। শেষ ষোলোয় পিএসভি আইন্দহোভেন, কোয়ার্টার-ফাইনালে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বাধা টপকে সেমি-ফাইনালে উঠে আরেক বিস্ময় উপহার দেয় তারা। শেষ চারে পিএসজিকে দুই লেগেই হারিয়ে দেয় ১-০ গোলে। প্রথম ম্যাচের পর আসরে আর কেবল একবার হেরেছে তারা। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচের সবগুলো জয়ের পর নকআউটে ৬ ম্যাচে অপরাজিত রিয়াল।
ডর্টমুন্ড কোচ এডিন তেরজিচ রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে ফেবারিটই মানছেন। তবে ফাইনালে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে, কিছুটা হুমকির সুরেই কথাটা বলে রেখেছেন তেরজিচ, ‘সবকিছুই সম্ভব যদি কোনো দল সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারে। আমরাই সেই দল। সব ফাইনালের বস অপেক্ষা করছে। আট ফাইনালেই রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের ধারায় ছেদ টানার সময় এসেছে।’ এদিকে ফাইনালে বরাবরই ভাগ্যকে পাশে পায় রিয়াল। এর নেপথ্যে রেফারিদের কিঞ্চিৎ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বারবার সামনে আসে। এই বিষয়টা অবশ্য মানতে নারাজ দলটির জার্মান ডিফেন্ডার অ্যান্টনিও রুডিগার, ‘কেউ যদি ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন আপনি ভাগ্যের কথা বলতে পারেন না। রাস্তাঘাটে মানুষের মুখে এখন একটাই কথা ১৫তম শিরোপাটা হয়ে যাক। এটাই রিয়ালের ডিএনএ-জেতা, জিততে থাকা।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post