নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিপিএলে ছক্কার রাজা বলা যায় তাকে। তানজীদ তামিম যা করলেন তা রীতিমতো অসাধ্য। বিশ্ব ক্রিকেটে ছক্কার বস খ্যাত ক্রিস গেইলের পেছনে এগুচ্ছেন বাংলাদেশের এই তরুণ ক্রিকেটার। ৫৪ বলে ৯০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে স্বাগতিক চিটাগাং কিয়সের বিপক্ষে নিজের দল ঢাকা ক্যাপিটালসকে শুধু জিতিয়েই মাঠ ছাড়েননি, নিজেও করেছেন রেকর্ড।
বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন তানজীদ তামিম। এতোদিন ধরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়ে দেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার উপরে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। বিপিএলের গত আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে ২৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়তে হৃদয় পেছনে ফেলেন তামিম। ২০১৯ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে তামিম ইকবাল ১৪ ম্যাচে ২৩ ছক্কা হাঁকিয়ে ছিলেন সবার শীর্ষে।
তবে বিপিএলের এক আসরে দেশী-বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক ক্রিস গেইল। তাঁকে যে কেউ ছাড়িয়ে যাবেন সেটা প্রায় এক প্রকার অসম্ভব। ছক্কার বসকে টপকে যাওয়ার সাধ্য ক’জনেরই আছে। রংপুর রাইডার্সের জার্সতে বোলারদের পিটিয়ে ছক্কার মারে নিজেকে সবার অনেকটা ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন ‘ইউনিভার্স বস’ খ্যাত গেইল। ২০১৭ সালে ১১ ম্যাচ খেলে ক্যারিবিয়ান তারকা ছক্কা মেরেছেন ৪৭টি।
চলমান বিপিএলে তানজীদ তামিমের দল ঢাকা ক্যাপিটালস খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। প্লে-অফ খেলার সুযোগ নেই তাদের। লিগ পর্বে আরো দু’টি ম্যাচ বাকী আছে এই তারকার। এই দুই ম্যাচে ক্রিস গেইলকে ছুঁয়ে ফেলা অসম্ভবই বটে।
তবে দেশী-বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় তানজীদ তামিম দুই নম্বরে আছেন। সবার ওপরে গেইল, দ্বিতীয় স্থানে তামিম, তিনে আছেন নিকোলাস পুরান। ২০১৯ আসরে সিলে সিক্সার্সের হয়ে ১১ ম্যাচে ২৮ ছক্কা মেরেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরান। তার পরেই আসছেন আন্দ্রে রাসেল। একই আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৫ ম্যাচে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট থেকে এসেছিল ২৮ ছক্কা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা স্বাগতিক চিটাগাং কিংস ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট তানজীদ তামিমের ব্যাটে ঢাকা ক্যাপিটাল ২ উইকেটেই তুলে ফেলে ১৪৯ রান। তামিমের ছক্কার রেকর্ডের ম্যাচটি ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে ঢাকা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০