নিজস্ব প্রতিবেদক:: চট্টগ্রাম টেস্টে রানের পাগাড় গড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাইজুলের একার লড়াইয়ের পরও থামানো যাচ্ছে না সফরকারীদের। দ্বিতীয় দিন চা বিরতির আগেই ৫০০ ছাড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ উইকেটে ৫২৭ রান তুলে চার বিরতিতে গেছে দলটি। দুই সেঞ্চুরিয়ান জোর্জি ও স্টাবিসের বিদায়ের পর সফরকারীদের টানছেন মুল্ডার ও মুথুসামি। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতেও বল তুলে দিয়েছেন। তবুও উইকেটের দেখা পাননি। দুই বছর পর বল করেছেন এই ব্যাটার। তবে সাফল্যের দেখা মিলেনি।
ব্যাটিংয়ে নামা সাউথ আফ্রিকা শুরুটাও ভালো করে। তবে অধিনায়ক নিজে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে মাত্র ৩৩ রান করে তিনি ফিরেন সাজঘরে। ৫৫ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন দু’টি। সফরকারী অধিনায়ক যখন সাজঘরে ফেরেন দলের রান তখন ১৭ ওভার শেষে ৬৯। তাইজুলের শিকারে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে প্রথম উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
প্রথম উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে রেকর্ড গড়া জুটি। জোর্জি ও স্টাবিস ৩৪২ বলে ২০১ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের বোলাররা কেবল বোলিং করেই যেতে থাকেন। একের পর এক ওভার শেষ করছিলেন তারা, আর সফরকারীরা দুই সেঞ্চুরিয়ান সাবলীল ব্যাট করেই যাচ্ছিলেন। নিষ্প্রাণ বোলিংয়ে উইকেট শুন্য থাকতে থাকে স্বাগতিকরা। হাসান মাহমুদ, নাহিদ রাহান, মেহেদী হাসান মিরাজদের যেনো কিছুই করার ছিলো না। উইকেটের আশায় অধিনায়ক শান্ত বল তুলে দেন মুমিনুলের হাতেই। তবুও কোনো কাজ হচ্ছিলো না।
অবশেষে সেই তাইজুলেই ভাঙে অতিথিদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ইনিংসের ৭৪তম ওভারের চতুর্থ বলে সেঞ্চুরিয়ান স্টাবিসের ষ্ট্যাম্প ভেঙে দেন তাইজুল। ১৯৮ বলে ১০৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া তারকা। ছয় চার আর তিন ছক্কায় সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে তিনি যখন সাজঘরে ফিরেন, প্রোটিয়াদের দলীয় রান তখন ২৭০।
স্টাবিসের বিদায়ে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ে ফেলেন জোর্জি ও ডেভিড। ১১৬ রানের সেই জুটিও ভাঙতে হয় তাইজুলকে। আজ সকালের সেশনে ইনিংসের ৯৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডেভিড বেডিংহামকে ফেরান তাইজুল। দলীয় রান যখন ৩৮৬, তখনি সাজঘরে ফেরেন ডেভিড। তবে তার আগেও হাঁকিয়ে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দুই চার ও চার ছক্কায় ৭৮ বলে খেলেন ৫৯ রানের এক ইনিংস।
বাংলাদেশের বড় বাঁধা হয়ে উঠেন সেঞ্চুরিয়ান জোর্জি। ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাটা প্রোটিয়া ওপেনারকেও থামাতে হয় তাইজুলকে। ইনিংসের ১০১তম ওভারের শেষ বলে ১৭৭ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রোটিয়াদের রান ততোক্ষণে ৩৯১। দুর্দান্ত হয়ে উঠা তাইজুল এরপরই ভেরেইনাকে দিয়ে ১৪তম ফাইফার তুলে নেন। ৩ বল খেলা ভেরেইনা রানের খাতাও খুলতে পারেননি। ইনিংসের ১০৩তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় রান ৩৯১ থাকতেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান তিনি।
এরপরই উইকেটের দেখা পান বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার নাহিদ রানা। সাউথ আফ্রিকার ষষ্ট উইকেটটি শিকার করেন তিনি। ইনিংসের ১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৪২৩ রানের মাথায় নাহিদ রানার শিকারে সাজঘরে ফেরেন ১২ রান করা রিকল্টেন। এরপরই সপ্তম উইকেটে জুটি গড়েছেন মুল্ডার ও মুথুসামি। ৭৮ রানে মুল্ডার ও ৪৭ রানে মুথুসামি অপরাজিত আছেন
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল একাই পাঁচ’টি উইকেট নিয়েছেন। নাহিদ রানার শিকার একটি উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০