নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শুরুর ধাক্কা সামলে বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের পুঁজি পেয়ছে কুমিল্লা। ফিফটি হাঁকিয়েছেন জাকের আলি অনিক। জিততে হলে সিলটকে এখন করতে হবে ১৫০ রান।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও, খেই হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। স্কোরবোর্ডে রান থাকলেও, পাওয়ার প্লে’তে হারিয়ে ফেলে তিন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ছয় ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান।
ইনিংসের প্রথম ওভারে শুরুটা দারুণ করেন লিটন দাস। থিসারা পেরেরার করা ওভারের প্রথম তিন বলে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো শুরুর জানান দেন। কিন্তু অতি আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে করে বসেন ভুল। চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে মোহাম্মদ হারিসের হাতে। প্রথম ম্যাচে ১০ রান করার পর এই ম্যাচে ৮ রান করেই প্যাভিলিয়ন ফেরেন দেশসেরা এই ব্যাটার।
লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে এসে সৈকত আলিও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজার করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পরপর তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কুমিল্লা শিবিরে স্বস্তি আনেন। এর আগে মোহাম্মদ আমিরকেও হাঁকান বাউন্ডারি। কিন্তু ইমাদ ওয়াসিমের করা পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই, বোল্ড আউট হয়ে কুমিল্লার চাপ বাড়িয়ে দেন সৈকত। যথন ড্রেসিং রুমে ফিরছিলেন, তার নামের পাশে ১২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। কিন্তু তিনি সুবিধা করতে পারেননি। বাঁহাতি এই ব্যাটার পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আমিরের বলে এক ক্যাচ তুলে দেন। সহজ সেই ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি আকবর আলি। আমিরের শিকারে পরিণত হয়ে ২ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই তারকা।
তিন উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে, তখন হাল ধরেন ওপেনার ডেভিড মালান ও জাকের আলি অনিক। দুজনে চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন। ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৭ রান করে মালান ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। যার মূল কারিগর থিসারা পেরেরা।
মালান ফিরলেও, দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন জাকের। ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নিজের তৃতীয় ফিফটি হাঁকান। ৪৩ বলে দুই বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ নবী নামলেও, ক্যামিও কিছু করে দেখাতে পারেননি। যার ফলে দেড়শ’র আগেই থামে কুমিল্লার ইনিংস।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রানে আমির ২টি ও পেরেরা ৪ ওভারে ২৬ রানে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেট লাভ করেন মাশরাফী ও ইমাদ ওয়াসিম।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post