স্পোর্টস ডেস্কঃ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হয়ে গেল আরও একটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগে বার্নাব্যুর ৩-৩ সমতার স্কোরলাইন ইতিহাদের ১২ মিনিটেই রিয়ালের পক্ষে ৪-৩ বানিয়ে দেন রদ্রিগো। ব্রাজিল দল সতীর্থ এদেরসন তাঁর নেওয়া শট প্রথমে রুখে দিলেও ফিরতি যাত্রায় আবার পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান। গোল হজমের পর সিটি অবশ্য আক্রমণের ধার বাড়ায়। আর্লিং হলান্ড অনেকটা আড়ালে পড়ে থাকলেও রিয়াল রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়ান কেভিন ডি ব্রুইনা, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশরা।
সিটির লাগাতার আক্রমণের মুখে রিয়ালের রক্ষণ অনেক সময় ছিল দুর্ভেদ্য। তবে ৭৬ মিনিটে অ্যান্তনি রুডিগারের মুহূর্তের দুর্বলতায় সেটি আর থাকেনি। সিটিকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইনা। নব্বই মিনিটের খেলা দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত আধা ঘণ্টাও যায় একই ধারায়। এ সময়ে কোনো গোল হয় নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন প্রথমে বার্নার্দো সিলভার শট ঠেকিয়ে দেন। এরপর তিনি ফিরিয়ে দেন মাতেও কোভাসিচের শটও। মূল ম্যাচের পর টাইব্রেকারেও তার বীরত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স, পেনাল্টিতে রিয়াল জিতল ৪-৩ গোলে।
টাইব্রেকারে সিটির হয়ে জালের দেখা পান হুলিয়ান আলভারেস, ফিল ফোডেন ও গোলরক্ষক এদেরসন। বের্নার্দো সিলভা দুর্বল শট করেন গোলরক্ষক বরাবর। মাতেও কোভাচিচের শটও ঠেকিয়ে দেন লুনিন। রিয়ালের লুকা মদ্রিচের নেওয়া প্রথম শট এদেরসন ঠেকিয়ে দিলেও বাকি চার শটে গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম, লুকাস ভাসকেস, নাচো ফের্নান্দেস ও আন্টোনিও রুডিগার।এই জার্মান ডিফেন্ডার বল জালে পাঠাতেই উৎসবে মেতে ওঠে সফরকারীরা। গত আসরে এই মাঠেই সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে রেয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে ওঠার পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সিটি। পেপ গুয়ার্দিওলার দলের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান থমকে গেল শেষ আটেই। শেষ হয়ে গেল তাদের ট্রেবল জয়ের আশাও।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post