স্পোর্টস ডেস্কঃ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ‘ডেথ ওভারে’ নিজের শেষ স্পেল করতে এসে দারুভাবে ঘুরে দাঁড়ান মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার এই ২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন গুজরাটের দুই হার্ড হিটার রশিদ খান আর রাহুল তেওয়াটিয়ার উইকেট। তাতে বড় জয়ের মঞ্চ তৈরি হয় চেন্নাই সুপার কিংসের। আর শেষ পর্যন্ত ৬৩ রানের বড় জয় পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
চিপকে আগে ব্যাট করে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিক চেন্নাই। রান তাড়ায় ১৪৩ রানে থামে শুভমান গিলের দল। চেন্নাইয়ের জার্সিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটের দেখা পেলেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজ। গুজরাটের ২ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। আগের ম্যাচে তিনি ৪ উইকেট শিকার করে জিতেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম ১০ বলেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। তবে মঙ্গলবার শুরুর দিকে মুস্তাফিজের বোলিং নির্বিষ মনে হলেও শেষ দিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তাঁর দুর্বোধ্য স্লোয়ার ও কাটা সামলাতে পারেননি। প্রায় অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে গিয়ে তার বলে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন রশিদ ও তেওয়াটিয়া। দুজনেই ধরা পড়েছেন রাচিনের হাতে। ২ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে উইকেটশিকারিদের তালিকায় শীর্ষেই থাকলেন মুস্তাফিজ।
এদিকে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ যেভাবে বল করলেন, তাতে মুগ্ধ মিচেল ম্যাকলানাঘান। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে মাহিশ থিকশানার সুযোগ দেখছি না। মুস্তাফিজ শেষদিকে কিছু স্লোয়ার করেছে, দুর্দান্ত। উইকেটে কিন্তু খুব একটা সহায়তা ছিল না। গত ম্যাচে যেমন উইকেট থেকে সহায়তা পেয়েছিল আজ কিন্তু তা ছিল না। এখন পর্যন্ত মুস্তাফিজ টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা বোলার। পাথিরানা আবার খুব গতিময় বল করেছে।’
ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান মনে করেন, অন্তত চেন্নাইয়ের হোম ম্যাচগুলোতে মুস্তাফিজ ও পাথিরানা দুজনকেই বল করানো উচিৎ। তার ভাষায়, ‘চেন্নাইয়ের উচিৎ মুস্তাফিজ ও পাথিরানা দুজনকেই খেলানো। যদি একজন না খেলে, ডেথ ওভারে একজন ভালো বোলার কমে যাবে। তুষার দেশপাণ্ডের ইকোনমি দশেরও বেশি। তাই যদি মুস্তাফিজ বা পাথিরানার মধ্যে যেকোনো একজনকে খেলানো হয়, তাহলে ক্লোজ ম্যাচগুলোতে ঝামেলায় পড়তে পারে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post